ফিরেছে শ্মশানের সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি! ছাড় পাচ্ছে না শিশুরাও
এইমসের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাঁর কথায়, এ হেন অবস্থায় দিল্লির উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো যেকোনও সময় হার মানবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়াবহ পরিস্থিতি। শ্মশানের এ হেন দৃশ্য দেখে ধরফর করে উঠছে বুক। আতঙ্কে কাটছে একের পর এক দিন। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ১৭ হাজার ২৮২ জন। মৃত্যু সংখ্যা ১০০ পার।
ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে, বেসামাল হয়ে পড়ছে হাসপাতালগুলি। পরিকাঠামো যতদূর উন্নত করা সম্ভব হয়েছিল, তাতেই কাজ সারা হচ্ছে। এমন সংক্রমণ করোনার প্রথম পর্যায়ে হয়নি। তাই শঙ্কিত স্বাস্থ্যমহল। পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। চোখের সামনেই মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক করোনা আক্রান্তের। তবে স্বস্তি এইটুকুই যে ভ্যাকসিন চালু হয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি, বেশিরভাগ বড় হাসপাতালে আইসিইউতে বেড খালি নেই। এইমসের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাঁর কথায়, এ হেন অবস্থায় দিল্লির উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো যেকোনও সময় হার মানবে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পরিস্থিতি! ২ লাখ ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, রাজ্যে কত?
করোনার মিউটেন্ট এবার বাচ্চাদেরও রেহাই দিচ্ছে না। শহরের হাসপাতালগুলি বলছে যে জ্বর এবং নিউমোনিয়া সহ কোভিডের গুরুতর লক্ষণগুলি নিয়ে হাসপাতালে আসছেন আট মাসের শিশুও। টেস্ট রিপোর্ট তাদের পজেটিভ। আগে বাচ্চাদের সেভাবে আঘাত করেনি করোনা। কিন্তু এবার ছবিটা বদলে গিয়েছে।
লোক নায়ক হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ সুরেশ জানিয়েছেন,“বর্তমানে আমাদের আটটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে কোভিড -১৯ এর গুরুতর উপসর্গ রয়েছে তাদের শরীরে। তার মধ্যে একটি শিশু আট মাসের। অন্যদের বয়স ১২ বছরের কম। তাদের মধ্যে অন্যান্যদের মধ্যে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডিহাইড্রেশন এবং স্বাদহীনের মতো উপসর্গ প্রকট "।
গঙ্গা রাম হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে একাধিক শিশুদের ভর্তি হচ্ছে। প্রবীণ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ধীরেন গুপ্ত বলেছেন, আমি কোভিডে আক্রান্ত শিশুদের পরিবার থেকে টেলিভিশন এবং ভিডিও মারফত পরামর্শের জন্য প্রতিদিন ২০-৩০ কল পাচ্ছি'।