নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার জন্য রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের রেকর্ড সংক্রমণ রাজ্যে, ১ দিনে Corona আক্রান্ত ৪,৫১১ জন, মৃত ১৪


উল্লেখ্য়, চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচির একটি বুধে গোলমালের জেরে গুলি চালিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা মন্তব্য করেন, 'শীতলকুচিতে ৪ জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ৪ জনকে মারল, তার জন্যে শো কজ করা উচিত। যারা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ১৮ বছরের ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছো়ড়ে তাদের নেত্রী মমতা।' ওই মন্তব্যের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এবার রাহুলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, রাহুল সিনহার মন্তব্য মডেল কোড অব কনডাক্ট  ভঙ্গে করেছে, পাশাপাশি এরকম মন্তব্যের ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।  রাহুলের ওই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞাণহীন।


অন্যদিকে, রবিবার বরানগরে পার্নো মিত্রের প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, 'বাংলায় দুষ্টু ছেলে আর থাকবে না। কেউ যদি বাধা দেয় শুনবেন না। কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' তার আগে সায়ন্তন বসু হুঁশিয়ারি দেন,বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।


গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এর প্রতিবাদে ধরনায় বসার হুমকি দেন মমতা। আজ মেয়ো রোডে ধরনাতে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গতকাল মমতার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির পরই প্রশ্ন ওঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুর মতো নেতাও  শীতলকুচি নিয়ে উত্তেজক বক্তব্য রেখেছেন। তাদের কী হবে?


আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টার জন্য নয়, পুরো নির্বাচন থেকেই ওনাকে ব্যান করা উচিৎ: দিলীপ ঘোষ


বিজেপি নেতাদের উত্তেজক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী(Sujan Chakrobortti)। সোমবার তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন মমতাকে শো কজ করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যেভাবে উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করেছেন তাতে একদিন ওঁর প্রচার বন্ধ করা বেঠিক বলে মনে হয় না। কিন্তু দিলীপ ঘোষের কি মুখ বন্ধ করা যাবে? সায়ন্তন বসু বা রাহুল সিনহার  কি মুখ বন্ধ করা যাবে? যদি এদের বিরুদ্ধে ও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হবে না।'