নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মাস্টারমশাই জায়গা ছাড়েননি তাই ইচ্ছা থাকলেও আগেরবার সিঙ্গুর থেকে দাঁড়ানো হয়নি।' সভামঞ্চ থেকে আক্ষেপের সুর মমতার গলায়। নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুরেও এ বার মুখোমুখি লড়াই একসময়ে জমি আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা তৃণমূলের দুই মুখের মধ্যে। এক দিকে রয়েছেন বেচারাম মান্না অন্যদিকে মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণারও পরে বিজেপি-তে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটবঙ্গে আগামিকাল দ্বিতীয় দফা। চার জেলার ৩০ আসনে ভোট। কালই সেখানে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে। আজ প্রথমে গোঘাট ও পরে দুপুরে সিঙ্গুরের প্রার্থী বেচরাম মান্নার বাড়ির কাছে রতনপুরে সভা করেন মমতা। সেখানেই মাস্টারমশাই-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন নেত্রী। 


আরও পড়ুন;  WB Assembly Election 2021: বলরামপুরে আমার গাড়িতে দুমদাম মেরেছে, শুধু ভোট বলে চেপে যাচ্ছি: Mamata


বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথকে বয়সের কারণেই এ বার প্রার্থী করা হয়নি, অন্তত এমনটাই জানিয়েছিল তৃণমূল। অনেক দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই গেরুয়াশিবিরে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ । ৮৯ বছরের মাস্টারমশাইকে সিঙ্গুরে প্রার্থীও করে বিজেপি। 


যদিও সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক ছিল মমতার। মাস্টারমশাইয়ের দলবদলের পরেও তাঁর সম্পর্কে কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি মমতাকে। এমনকি আজ মঞ্চ সিঙুরের মঞ্চ থেকেও মাস্টারমশাই-এর নাম করে শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন মমতা। তবে ভোট-যুদ্ধে নেমে বুধবার মাস্টারমশাই-এর প্রতি খানিক অন্যসুরই শোনা যায় মমতার গলায়। 


এদিন তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের মতো সিঙ্গুর আমার আবেগ। গতবার আমার ইচ্ছে ছিল সিঙ্গুর থেকে দাঁড়ানোর। বেচারামকে দিয়ে মাস্টারমশাইকে জানিয়েছিলাম আপনাকে অন্য জায়গা দিচ্ছি। আমি এখানে দাঁড়াই। কিন্তু মাস্টারমশাই রাজি হননি। আমিও আর জোর করিনি। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও এখান থেকে দাঁড়ানো হয়নি।


পাশাপাশি সিঙ্গুরের মঞ্চ থেকে শিল্পবার্তাও দেন মমতা। 'আগামিদিনে সিঙ্গুরে বড় শিল্প হবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। জমি আন্দোলনের ভূমিতে দাঁড়িয়ে শিল্পবার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ বছর আগে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন পাল্টে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতির চেহারা। তেমনই বাংলার রাজনীতিতে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনেরওও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এদিন মঞ্চ থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিচারমায় সুর চড়িয়েছেন মমতা। পাশাপাশি কৃষকদের জমিগুলি চাষযোগ্য করে তোলার কথাও বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


২০০৮ সালে সিঙ্গুর থেকে লটবহর গুটিয়ে চলে যায় টাটাগোষ্ঠী। গাড়ি কারখানা হয়নি। জমি ফেরতই সার। সেই জমি তা চাষ যোগ্য হয়ে উঠেনি এখনও। শিল্প-পরিস্থিতির বেহাল দশার প্রসঙ্গ উঠলেই ফিরে ফিরে আসে সিঙ্গুরের নাম। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই মাটিতেই ফের শিল্পস্থাপন করে কর্মসংস্থানের জোয়ার আনার ডাক দিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। শিল্পায়নের বার্তা দিয়েই সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্র দখলের পথে এগোলেন মমতাও।