নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে মতুয়া ভোটের উপরে নজর রয়েছে সব দলের। মতুয়াদের মন পেতে বাংলাদেশে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানে গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এমনই অভিযোগ সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এনিয়ে এবার পাল্টা দিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মা-বাবার গরহাজিরায় আনন্দের দাদু-মামাকে Mamata-র মঞ্চে তুলল TMC! 


এক সাংবাদিক সম্মেলনে শান্তনু আজ অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে মতুয়াদের ভাঁওতা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।  মতুয়াদের জন্য কোনও উন্নয়ন তিনি করেননি। বরং মতুয়াদের নাগরিকত্ব পেতে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোটের আগে  রাজ্যের মতুয়া, রাজবংশী ও মুসলিমদের ভাঁওতা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


শান্তনু ঠাকুরের দাবি, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষণা করলেও বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই।  মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদের কথা ঘোষণা করা হলেও সেই পর্ষদ থেকে কোনও মতুয়া উপকৃত হননি। মমতা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই ছুটি কেউই পাননি। মতুয়া, রাজবংশী, মুসলিমদের দুধেল গাই হিসেবে ব্যবহার করছেন মমতা(Mamata Banerjee)।


আরও পড়ুন-বরানগরে পার্নো মিত্রের প্রচারে হামলা, প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ BJP-র


এদিকে, শান্তনুর অভিযোগের পর মুখ খুলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর(Mamatabala Thakur)। মততাবালা বলেন, ঠাকুরবাড়ির যে ঘাট দিয়ে শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur) ও তাঁর বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর কামনা সাগর-এ নামেন সেই ঘাটটিও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের টাকায় তৈরি। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে ছুটি কার্যকর হয়েছে। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়েছে।  মতুয়া উন্নয়ন পর্যদকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোটের জন্য সেই পর্যদের কাজ শুরু করা যায়নি।