নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বড়মার হাতের চিঠি আমার কাছে অনেকগুলি আছে। তিনি বলেছিলেন, আমার অবর্তমানে তুমি এদের দেখে রেখো'। ভোটের মুখে  আরও একবার মতুয়াদের আবেগকে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আশ্বাস দিলেন, 'আমি দেখে রাখব। চিন্তা করবেন না'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটে নিরিখে, রাজ্যের সত্তরটিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে 'বড় ফ্যাক্টর' মতুয়ারা। CAA-র হাতিয়ার করে তাঁদের কাছে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। গাইঘাটায় সভা করে গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্যে তখন প্রথম দফায় ভোট চলছে। বাংলাদেশে সফরে গিয়ে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের জন্মস্থানও ঘুরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং (PM Modi)। সঙ্গী, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ, ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর।


আরও পড়ুন: WB assembly election 2021: 'এমন অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী দেখিনি', Covid ইস্যুতে Modi-র পদত্যাগ দাবি Mamata-র


২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় হবে ভোটগ্রহণ। এদিন গাইঘাটার জনসভায় সেই প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, 'বাংলাদেশ, তুমি প্রধানমন্ত্রী প্রতিবার আমাকে নিয়ে যাও। কারণ, শেখ হাসিনা আমাকে ভালোবাসেন। কই, এবার লুকিয়ে লুকিয়ে গেলে এখানকার এক ছোকরাকে নিয়ে, তখন তো আমাকে নিয়ে গেলে না। ভোটের জন্য যেতে হল'! তাঁর কথায়, 'মমতা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদত দেয়। আর তুমি গেলে ওটা কী হয়? মমতা গেলে বিষ ছড়ায়, আর তুমি গেলে কি বিষক্ষয় হয়'?  


আরও পড়ুন: পায়ে হেঁটে ২ মে রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র দিতে হবে, সেরে উঠুন দিদি: Amit Shah


বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ঠাকুরবাড়ি পরিবারতন্ত্র নিয়েও সরব হন তৃণমূলনেত্রী। বলেন,  'কখনও ঠাকুরের কাউকে ভোট দাঁড় করানোর জন্য, তাঁর ভাই দাঁড়াবে, তাঁর বউ দাঁড়াবে, সে দাঁড়াবে। কই, একটা গোঁসাইকে তো কখনও টিকিট দেওয়ার কথা বলোনি, একটা দলপতিকে করোনি, সভাপতিকে করোনি, মতুয়া সমর্থককে করোনি'। মমতার দাবি, 'আমি দিয়েছি। রণেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। ওরা মতুয়াদের আদি সমাজের লোক। এবারের প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস। মতুয়া সমাজের আদি লোক। এরাই তো সবচেয়ে বড় দলপতি'।