নিজস্ব প্রতিবেদন:  'ভারতবর্ষে যত করোনার ওষুধ ছিল, তার ৬৪ শতাংশ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন'। দেশে ভ্যাকসিন সঙ্কটে জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বললেন, 'বাইরের দেশকে দাও, আমার আপত্তি নেই। পর ভোলানো, ঘর জ্বালানো! তুমি নিজের দেশকে দাও না কেন'?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর শেষ কোথায়? করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। ভোটবঙ্গে করোনার কারণে  প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন প্রার্থী। সংক্রমণের কবলে পড়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) সুশীল চন্দ্র। বাদ যাননি আর এক নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারও। কিন্তু ভ্যাকসিন কই! লাইনে উপচে পড়া ভিড়, টিকা নিতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যাঁরা ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আবার নথিভুক্ত করেও ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজই এখনও পাননি বহু মানুষ। 


আরও পড়ুন: '১৮-র ঊর্ধ্বে টিকায় দেরি, পরিস্থিতি বুঝে গা বাঁচানোর চেষ্টা', Modi-কে কড়া চিঠি Mamata-র


এদিকে ১ মে থেকে ১৮ পেরোলেই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোলা বাজারেও ভ্যাকসিন বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, রাজ্য সরকার যদি চায়, সেক্ষেত্রে প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে সরাসরি টিকা কেনার ক্ষেত্রেও আর কোনও বাধা নেই। এদিন জিয়াগঞ্জে জনসভায় মমতা বলেন, 'ভারতবর্ষে যত করোনার ওষুধ ছিল, তার ৬৪ শতাংশ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি বারবার বলছি, ওষুধ পাচ্ছি না, ওষুধ পাচ্ছি না। কালকে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এখন খোলা বাজারেও কেনা যাবে। খোলা বাজারে ওষুধ কোথায়'! তৃণমূলনেত্রীর কথায়, তুমি প্রধানমন্ত্রী বাইরে দেশে ওষুধ পাঠিয়ে ভালো সাজার চেষ্টা করছ। বাইরের দেশকে দাও, আমার আপত্তি নেই। পর ভোলানো, ঘর জ্বালানো। তুমি নিজের দেশ দাও না কেন'?


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: গণনাকেন্দ্রে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়, কোভিড প্রটোকল মেনে প্রায় অর্ধেক হচ্ছে টেবিল সংখ্যা


স্রেফ মুখের কথাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার গণটিকাকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) কড়া ভাষায় ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে অভিযোগ করেছেন,  '১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে এখন গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র'। দাবি করেছেন স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি' সুনিশ্চিত করার।