নিজস্ব প্রতিবেদন: মাথাভাঙায় গিয়ে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। এনিয়ে মমতাকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করার অভিযোগ, চলছে রাহুল সিনহার প্রচার


জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, মততার কথা এক বিন্দুও বিশ্বাস করে না রাজ্যবাসী। কারণ ২১ জুলাইয়ে ১৪ জন খুন হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় কেউ শাস্তি পাননি। বরং সেইসময় পুলিসের যারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের মমতা নিজের মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন। তাদের পুরস্কৃত করেছিলেন। নন্দীগ্রামের ঘটনাতেও বলেছিলেন দোষীরা শাস্তি পাবে। কিন্তু যে পুলিস অফিসার ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাকে মমতা দল নিয়ে নিলেন। সুতরাং শীতলকুচির ক্ষেত্রে মমতা কী করবেন তা সবাই জানেন।


আজ সকালেই তিনি মাথাভাঙায় ওই স্মরণসভায় যোগ দেন মমতা। কথা বলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। ওই স্মরণসভায় যোগ দেন নিহত বিজেপি সমর্থক আনন্দ বর্মনের দাদুও।


আনন্দ বর্মনের আত্মীয় বলে কাকে মঞ্চে তুললেন মমতা? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এনিয়ে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্র নাথ ঘোষ বলেন,  আনন্দ বর্মনের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। আনন্দ বর্মন থাকে দাদুর বাড়িতে। তার দাদু ও মামা এসে দাবি করেছে, আনন্দ বর্মনের খুনিদের শাস্তি চাই।


আরও পড়ুন-রেকর্ড করোনা আক্রান্ত দেশে, ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি


মাথাভাঙার স্মরণসভায় মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। ছোট ছোট ছেলেরা মারা গিয়েছে। দেখলাম একজনের স্ত্রী গর্ভবতী। একজনের বাচ্চা একেবারে শিশু। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়ার প্রয়োজন। যারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবই। ভোটটা মিটে যাক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা তদন্ত করা যায় তা আমরা করব। আপনারা জানেন ঘটনার পরদিনই আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আপনারা শান্ত থাকুন। উত্তেজিত হবেন না। দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি পাবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা শাস্তি পাবেই। মৃত্যুর বিকল্প অর্থ হয় না। তবে নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে অন্য যারা নিহত হয়েছে তাদেরও সাহায্য করা হবে।