নিজস্ব প্রতিবেদন: রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। এবার ভোটের মুখে সেই রাস্তার দাবিতেই নতুন করে আন্দোলনে নামলেন জলপাইগুড়ি শহরের ৪ নম্বর গুমটি-সংলগ্ন নিউটাউনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এপ্রিলের মাঝামাঝি ভোট সেখানে। অথচ বিধান‌সভা নির্বাচনে‌র আগেই তারা স্লোগান তুলে দিলেন-- 'নো রোড, নো ভোট'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার থেকেই তাঁদের এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। আন্দোলন পুরোদমে চলছে শনিবারও। 
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে এসে সকলেই রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। পরে আর কারও দেখা মেলে না। স্থানীয় বাসিন্দা‌রা জানান, যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তা দিয়ে একটা অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ঢুকতে পারে না। স্থানীয় কাউন্সিলারকে বিষয়টি বারবার বলা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বহুদিন পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত পাকা রাস্তার মুখ দেখেননি তাঁরা। এলাকার মানুষ ভেবেছিলেন হয়তো বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় পাকা রাস্তা দেখবেন। তা-ও হয়নি।


আরও পড়ুন: 'ব্রিজ নয় তো ভোট নয়', ছাতনায় ভোট বয়কট গ্রামবাসীদের


এর প্রতিবাদেই বাধ্য হয়ে এবার ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটাউনপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে‌ই এলাকায় ব‍্যানার লাগিয়ে তাঁরা প্রচার শুরু করেছে‌ন-- 'নো রোড নো ভোট'। এলাকার মানুষ‌ের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি করার জন্য বোর্ড লাগানো হলেও আজ‌ও রাস্তা হয়নি। অভিযোগ, এলাকার নিকাশিনালার অবস্থা‌ও বেহাল। পুরপরিষেবা বলতে কিছুই নেই। স্থানীয় বাসিন্দা রাজশ্রী মাহাত বলেন, রাস্তা না থাকায় এই এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বর্ষায় যাতায়াত খুবই সমস্যার। বর্ষায় নিকাশিনালার সমস্ত নোংরা জল ঘরে ঢুকে পড়ে। এই সব কারণের জন্যই তাঁরা এবার ভোট (vote) দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা।


এলাকায় ২০০ মিটারের একটি রাস্তা তৈরি হলেই উপকৃত হবেন মুচিপাড়া, পাটগোলা, ৪ নম্বর গুমটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, বিজয়চন্দ্র বর্মন জলপাইগুড়ির সাংসদ থাকাকালীন রেললাইনের পাশে নিকাশিনালা ও রাস্তা তৈরির জন্য সাংসদ ফান্ড থেকে ৯ লক্ষ ২১ হাজার ৩৩২ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। এই কাজের জন্য তিন বছর আগে দু'জায়গায় বোর্ড পর্যন্ত লাগানো হয়েছিল। যদিও নালার পাশে কয়েকটি কংক্রিটের পিলার বসানো ছাড়া আর কোনও কাজই হয়নি। সেই টাকা কোথায় গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। 


জানা গিয়েছে, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় প্রায় ২০০০ বাসিন্দা রয়েছেন। এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। 


আরও পড়ুন: 'বাংলার ভোটে অশান্তি করছে পাকিস্তানিরা', বিস্ফোরক শুভেন্দু