নিজস্ব প্রতিবেদন- শনিবার রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৫ জেলার ৪৪টি আসনে তারকা প্রার্থীর ছড়াছড়ি। অভিনয় ও ক্রীড়া জগৎ থেকে রাজনীতির ময়দানে নামা প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন, অন্যদিকে তাঁদের মুখোমুখি ফ্রন্টফুটে লড়ছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসন- বেহালা পশ্চিম। এই হাই প্রোফাইল আসন থেকে মুখোমুখি লড়াইয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেতা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। একদিকে রাজ্যের দুবারের মন্ত্রী, প্রথমে শিল্প ও পরে শিক্ষা। অন্যদিকে বিজেপিতে সদ্য যোগ দেওয়া অভিনেতা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যাঁর নামের পাশে বাংলার বেশ কিছু সুপারহিট ছবি।



আসন- বেহালা পূর্ব। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন রাজনৈতিকভাবে খুবই নজরে রয়েছে। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে লড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর মুখোমুখি অভিনেতা পায়েল সরকার। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে তাঁর স্ত্রী রত্নাকে। অন্যদিকে, বিজেপি জোরদার ঝড় তুলতে টলিউডের পায়েলকে প্রার্থী করেছে।



আসন- টালিগঞ্জ। তৃণমূল ও বিজেপি— দু’দলের প্রার্থীই এখানে হেভিওয়েট। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কখনও বাবার দেওয়া বুলেট বাইকে চেপে, পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের প্রচার করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে হাতের তালুর মত চেনা টালিগঞ্জে আবারও ফেরার লড়াইয়ে অরূপ বিশ্বাস।



আসন- চণ্ডীতলা। এখানে লড়াই বিজেপি ও সংযুক্ত মোর্চার দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে। বাম নেতা মহম্মদ সেলিম ও অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। প্রথম জন বর্ষীয়ান বাম নেতা। রাজ্য রাজনীতির সব গলি-ঘুঁজিই তাঁর নখদর্পণে। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত প্রথমে ছোটপর্দা ও পরে বড়পর্দা হয়ে রাজনীতিতে। হুগলির চণ্ডীতলায় এ বার লড়াই সিপিএম প্রার্থী সেলিম ও বিজেপি-র যশের মধ্যে।



আসন- সোনারপুর দক্ষিণ। এই আসনে চমকপ্রদ লড়াই হবে দুই অভিনেতার মধ্যে। লাভলি মৈত্র ও অঞ্জনা বসু। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লাভলি মৈত্র ছোটপর্দার ‘জলনূপুর’ ধারাবাহিক দিয়ে যাঁর উত্থান ও জনপ্রিয়তা। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অঞ্জনা বসু ছোট ও বড় পর্দার প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা, একসময়ে বাম-ঘনিষ্ঠা। ২০১৯-এ যোগ দেন বিজেপিতে। এবার বিধানসভায় দুই অভিনেতার লড়াই নজরকাড়া হতে চলেছে।