নিজস্ব প্রতিবেদন: অষ্টম দফায় ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে অশান্তি কম হয়নি। বৃহস্পতিবার দিনভর তেতে ছিল এলাকা। ভোটের পরেও হিংসা অব্যাহত বীরভূমের ইলামবাজারে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। রাতভর বোমাবাজি চলল নানুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখন ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোলপুরে বিধানসভার কেন্দ্রের ইলামবাজারে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। রীতিমতো বাঁশ হাতে তাঁকে তাড়া দেখা যায় গ্রামবাসীদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দলের প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে।


আরও পড়ুন: স্ত্রী পালিয়েছে বলেও শেষরক্ষা হল না, গোয়ালঘরের মাচা থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করল পুলিস


জানা গিয়েছে, সন্ধে নাগাদ যখন ভোটগ্রহণ শেষ হয়, তখন ইলামবাজারের ছোটচক এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। তারপর? স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায় বোমা বাঁধা হচ্ছিল। সেসময় আচমকাই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন হাফিজুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। হাত উড়ে যায় তাঁর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। এদিন সকালে মারা যান হাফিজুল।


নির্বাচন পর্ব মিটতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নানুরও। বন্দর গ্রাম ও আশেপাশে এলাকায় রাতভর চলে বোমাবাজি। বিজেপির অভিযোগ, ভোট চলাকালীন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর রাত নামতেই দলের কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য শুরু হয় বোমাবাজি। বিজেপির বিরুদ্ধে আবার পাল্টা বোমাবাজির অভিযোগ করেছে তৃণমূলও।


আরও পড়ুন: \WB Assembly Election 2021: 'কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিচার চাই, তাই এসেছি', ভোট দিলেন শীতলকুচিকাণ্ডে নিহতদের আত্মীরা


স্রেফ ইলামবাজার বা নানুরই নয়, ভোটের পর লাভপুর বিধানসভার আমোদপুরেও  তৃণমূলকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত হন ৪ জন। যদি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়াশিবির। ময়ুরেশ্বরের দাঁড়কান্দি গ্রামে আবার বিজেপি কর্মীদের ঘড়ের গাদা আগুন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান ময়ুরেশ্বর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডল।