নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি কর্মীর মা শোভারানীর মৃত্যুতে ধুন্ধুমার রাজ্য রাজনীতি। সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে নিমতায় পথে নেমেছে বিজেপির কর্মীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলীয় কর্মীরা।  নারী সুরক্ষা নিে প্রশ্ন তুলে সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা থেকে  দেবশ্রী চৌধুরীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাও টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন। অমিত শাহ লিখেছেন 'তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা নির্মমভাবে মারধর করে বাংলার মেয়ে  শোভা মজুমদারে মৃত্যুতে আশ্চর্য হয়েছি। তার পরিবারের দুঃখ এবং ক্ষত মমতা দিদিকে বহুকাল তাড়া করে বেড়াবে। হিংসা মুক্ত আগামীর জন্য লড়াই করবে বাংলা। বোন ও মায়েদের সুরক্ষার জন্য লড়াই করবে বাংলা। 



মৃত বৃদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করে জেপি নাড্ডা লিখেছেন, 'নিমতার বৃদ্ধ 'মা' শোভা মজুমদারের আত্মার শান্তি কামনা করি ।ছেলে গোপাল মজুমদার বিজেপি করার জন্য আজ তাঁকে প্রাণ দিতে হলো। বিজেপি এই বলিদান কে সর্বদা মনে রাখবে । ইনি ও বাংলার 'মা' ছিলেন ইনি ও বাংলার 'মেয়ে' ছিলেন। বিজেপি সবসময় বাংলার মা ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য লড়াই করবে।'



শোভারানীর মৃত্যুর প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'এভাবে মাকে মেরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে গিয়ে ওই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়েদের থেকে ভোট চাইছেন কোন মুখে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে গোটা রাজ্যে।' অন্যদিকে CBI তদন্তের দাবি জানিয়ে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর জানান, 'বাংলায় রক্তাক্ত মা, মাটি মানুষ। আজকের ঘটনা নিন্দার ভাষা ছাড়িয়ে গিয়েছে। মাকে মেরে হত্যা করে দিল। মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্যই করলেন না। আমরা এ ক্ষেত্রেও CBI তদন্তের দাবি করা হবে।' 


তবে শুরু থেকেই আক্রমণের দায় এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এদিন ফের সৌগত রায়ের মন্তব্য, 'এর সঙ্গে  তৃণমূলের কোনও সম্পর্কই নেই। এই ঘটনা নিয়ে বহু রাজনীতি করেছে। বয়সজনিত কারণএ তাঁর মৃত্যু, সব মৃত্যুই দুঃখের কিন্তু সবকিছু নিয়ে রাজনীতির কোনও প্রশ্নই নেই।'


উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মীর মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১ মাস লড়াই-এর পর আজ রবিবার রাতেই নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় নিমতার (Nimta) আক্রান্ত বৃদ্ধার। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে সুবিচারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের (TMC) দাবি, ওই বৃদ্ধা অসুস্থ ছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর পিছনে কোনও ভাবেই জড়িত নয় তৃণমূল। উল্লেখ্য,