নিজস্ব প্রতিবেদন: কিছুদিন বাদেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ভোটের আগে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই সব বাহিনীকে রাখা হয় বিভিন্ন স্কুলে। এবারেও তাই হয়েছে। মালবাজারের একটি স্কুলে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেব্রুয়ারির (february) শেষ সপ্তাহে এসে সাত-আট দিন হল অন্যত্র চলে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবারও আসবে। কবে কেউ জানে না। কিন্তু আসবে তো বটেই। এবং মোটামুটি মাস দেড়েক তারা এখানে ঘাঁটি গেড়ে থাকবে। কেননা মালবাজার অঞ্চলে ভোট ১৭ এপ্রিল (april)। সমস্যা হল, ভোটের সময়ে স্কুলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকতে দিতে হবে জেনেও স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের চেয়ার-টেবিল-ডেস্কের রক্ষণাবেক্ষণের কোনও সুবন্দোবস্ত করেননি।


ঘটনাটি ঘটেছে মাল ব্লকের (malbazar) সুনীল দত্ত স্মৃতি গার্লস স্কুলে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহেএই স্কুলে এসে উঠেছিল ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। বাহিনীর জন্য স্কুলের ক্লাসরুম ব্যবহার করা হয়েছিল। তখনই স্কুল কর্তৃপক্ষ চেয়ার-টেবিল সব বাইরে বের করে খোলা আকাশের নীচে রেখেছিলেন। এর মধ্যেই প্রায় দিনদশ-বারো পার হয়ে গেল চেয়ার-টেবিল বাইরে পড়ে। এ অঞ্চলে মাঝে-মাঝে বৃষ্টিও হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে স্কুলের স্তূপাকার চেয়ার-টেবিল-ডেস্ক। রোদেও পুড়ছে। এভাবে প্রায় মাসদু'য়েক রাখা থাকলে যথেষ্ট ক্ষতি হবে জিনিসগুলির। অভিযোগ, রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি স্কুলের চেয়ার-টেবিল, অথচ হুঁশ নেই কারও।


আরও পড়ুন:  WB Assembly Election 2021 : প্রভাবশালীদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে বিলি হত ৫০-৬০ কোটি, কয়লাকাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য


এখন স্কুলে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। কিন্তু এই অবসরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে চেয়ার-টেবিলগুলির কোনও সুবন্দোবস্ত করে দেওয়া হয়নি কেন, তা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর মধ্যে। অযত্নে কোনও কোনও চেয়ার টেবিল ইতিমধ্যে ভেঙেও গিয়েছে।


এই স্কুলের শিক্ষকেরা সব বাইরে থেকে আসেন। কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। তবে স্কুলের নন-টিচিং স্টাফ স্থানীয় জগদীশচন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। তিনি জানান, বিষয়টি তাঁরা জানেন। কিন্তু স্কুল যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনীর হেফাজতে তাই এখন তাঁরা চেয়ার-টেবিলের কোনও বন্দোবস্ত করতে পারবেন না। তবে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকলে ক্ষতি হবে চেয়ার টেবিলগুলির, তা স্বীকার করেন তিনি।


যদিও জানা গেল, স্কুলের চাবি স্কুলের সিকিউরিটি গার্ডের হাতেই আছে। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে স্কুলে ঢুকে চেয়ার-টেবিল গুছিয়ে রাখা বা ঢেকে রাখার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।  


তবে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?


স্থানীয়দের ক্ষোভ, এ ক্ষেত্রে গাফিলতি স্কুলেরই। এরপর যখন স্কুল খুলে যাবে তখন কী অবস্থা হবে চেয়ার-টেবিলগুলির? ছাত্রছাত্রীরা আর সেগুলি ব্যবহার করতে পারবে?


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021 : BJP-তেই যাচ্ছেন TMC-র টিকিট না পাওয়া Dipendu Biswas