নিজস্ব প্রতিবেদন: যে নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত সেখানেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। এর জেরে বিজেপি তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের সোনাডূড়া বাজারে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁক গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকজন। দেখানো হয় কালো পতাকা। এর পরই উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।  সোনাচূড়া বাজার ছাড়াও ভুতার মোড়েও মারধর, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা তাদের সমর্থকদের উপরে চড়াও হন। তাদের মারধর করা হয়।


আরও পড়ুনসিন্ডিকেটরাজ আর নয়, বাংলায় BJP সরকারে এলে সব অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: Modi  


সোনাচূড়া বাজার দিয়ে শুভেন্দু আধিকারীর গাড়ি যখন পেরিয়ে যাচ্ছিল সেসময় তাঁর গাড়ির সামনে জুতো, ঝাঁটা, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত ২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।  পূর্ণ পাত্র নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ভুতার মোড়ের সংঘর্ষে এক মহিলা সহ মোট ৩ জন আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাওয়ার পর পরিস্থতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। 


সকাল দশটা নাগাদ সেনাচূড়ায় প্রচার শুরু করেন শুভেন্দু(Subvendu Adhikari)।  বেলা বারোটা নাগাদ তাঁর কনভয় আসে সোনাচূড়া বাজারে। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁকে গদ্দার বলেও কটূক্তি করা হয় বলে বিজেপির দাবি। এর ঘন্টা খানেক পর ফের শুভেন্দুর গাড়ী যখন ভুতার মোড় দিয়ে যাচ্ছিল তখন ফের কনভয়ের পেছনে থাকা বাইকগুলোকে আটকে বেধড়ক মারধর এর অভিযোগ তৃণমূল এর দিকে।পালটা বিজেপির কর্মীর কর্মীরাও জড়ো হয়ে মারধর চালায়। উভয় পক্ষের আহত মোট ৯ জন। পাঁচ বিজেপি কর্মীকে রেয়াপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তৃণমূলের আহতদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিস্টি হাসপাতাল এ ভর্তি।করা হয়েছে।বর্তমান এ ঘটনাস্থলে কেন্দ্র বাহিনী পুলিশ রয়েছে।


আরও পড়ুন-WB Assembly Election 2021 LIVE: কেশিয়ারড়িতে ভোট প্রচারে মমতা


এদিকে, ওই ঘটনায় আহতদের দেখেতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান(Dharmendra Pradhan)। আহতদের দেখে এসে তিনি বলেন, আমাদের যুব মোর্চার কর্মীদের মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। পূর্ণ পাত্র নামে এক বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছি। বুঝতে পারছি না পুলিস কী করছে। শেষ যে খবর পেয়েছি পূর্ণ পাত্রের অবস্থা সংকট জনক। তাকে স্ক্যান করতে হবে। এলাকার পুলিস যদি শাসকদলের সঙ্গে মিশে যায় তা হলে তা গণতন্ত্রের জন্য খুবই বিপজ্জনক।