নিজস্ব প্রতিবেদন: 'সায়নী ঘোষ বহিরাগত, এবার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করতে হবে'। প্ল্যাকার্ড হাতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভায় এবার পথে নামলেন তৃণমূল (TMC) কর্মীদের একাংশ। বার্নপুর শিল্পাঞ্চলে দফায় দফায় চলল বিক্ষোভ, পথ-অবরোধ। এই বিক্ষোভ যে হওয়ারই ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন শাসকদলের বিদায়ী বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঠাকুর। 

 

একুশের ভোটে (WB assembly election 2021) 'তারকা নির্ভরতা'য় হিতে বিপরীত হবে না তো? ঘাসফুল শিবিরের ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে ক্রমশই।  মাস দুয়েক আগে বিজেপির 'জয় শ্রীরাম'  স্লোগানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন টুইট-যুদ্ধে। এরপর ২০১৫ সালে শেয়ার করা একটি মিমি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে পাল্টা ট্রোল করা হয়। দলে যোগ দেওয়ার পর  আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে সেই সায়নি ঘোষকেই (Saayoni Ghosh) প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC)। ক্ষুদ্ধ দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।  

 


 

এদিন আসানসোল ও বার্নপুরে দলের প্রার্থী বিরুদ্ধে একযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের মাইনোরিটি সেল, শিক্ষা সেলের সদস্য ও ছাত্র-যুবকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের একটাই দাবি, সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) বহিরাহত, তাঁকে কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া হবে না। দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রকে প্রার্থী করতে হবে। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলকর্মীদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের সময়ে দোলা সেন প্রার্থী করেছিলেন দলনেত্রী। তিনি হেরে গিয়েছেন। মুনমুন সেনও জিততে পারেননি। তারপরেও শিক্ষা হয়নি। এবার সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই পথে নেমেছেন তাঁরা। বস্তুত, বিদায়ী মেয়র পারিষদ লক্ষণ ঠাকুর ও প্রাক্তন বিধায়ক সোহারাব আলিকে প্রার্থী করার দাবিতেও আলাদা ভাবে  বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী ও দলের মাইনোরিটি সেলের সদস্যরা।

 

এদিকে আসানসোল দক্ষিণে প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেভাবে পথে নেমেছে দলের কর্মী-সমর্থকরা, তাতে চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব। বিদায়ী বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঠাকুরের মতে, বিক্ষোভ হওয়ারই কথা ছিল। সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পথে নামাতে হবে।