নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম দফার ভোটের মুখে তৃণমূলের 'বহিরাগত' নালিশে তৎপরতা বেড়েছে কমিশনের। নন্দীগ্রামে যখন নাকাবন্দির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন বিডিও অফিসে বসে এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। সূত্রের খবর, এই বৈঠক চলাকালীন বিডিওকে তাঁর অফিসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ পর্যবেক্ষকের ব্যবহারের জন্য বিডিও অফিসে একটি আলাদা ঘর রয়েছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাজ্যে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। ভোট নেওয়া হবে ৫টি জেলার ৩০টি কেন্দ্রে। এর আগে শুক্রবার সকালে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) অফিসের যান ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) ও কাকলী ঘোষদস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar)। তাঁদের অভিযোগ, 'পটাশপুর, ভগবানপুর, খেজুরি, এগরা, নন্দীগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হয়েছে। এরা কেউ ওই এলাকার ভোটার নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে না। বড় রাস্তায় নাকা চেকিং চলছে, কিন্তু গ্রামের ভিতরে ঢুকছেন না জওয়ানরা'। কয়েক ঘণ্টার পরেই নন্দীগ্রাম-সহ ওইসব এলাকায় 'বহিরাগত'দের খোঁজে নাকাবন্দি নির্দেশ দেয় কমিশন। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে বিডিও-র অফিসে এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।


 



 


কেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান স্পষ্টতই জানিয়েছেন,  'স্থানীয় পুলিসের ভূমিকায় আমরা উদ্বিগ্ন। বারবার বলা সত্ত্বেও এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দমারি এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সেকারণে কমিশনের পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেছি'। এদিকে কমিশনে যে পর্যবেক্ষকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈঠক করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আবার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেছে। তিনি নানাভাবে বিডিও ও রিটার্নিং অফিসারদের হেনস্তা করছেন বলে খবর।