নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পরবর্তি হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। চার সদস্যের ওই দলটি রাজ্যের একাধিক উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখবে বলে খবর। এর মধ্যেই রাজ্যে হিংসা কবলিত এলাকা দেখতে এসে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। কাঠ, আধলা ইট, বাঁশের আঘাতে তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। উন্মত্ত জনতার হাতে থেকে কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওই ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শীতলকুচিতে CISF-র গুলিতে হত ৪ TMC সমর্থক, ক্ষমতায় এসেই তদন্তে SIT গঠন মমতার


বুধবার রাজ্যে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধরন। আজ তিনি সবং ও পিংলায়(sabang) ভোট পরবর্তি হিংসায় আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁকুড়িতে এলে তাঁর কনভয় আক্রমণ চালায় একদল লোক। ভোট পরবর্তি হিংসায় যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের ঘরবাড়ি ঘুরে দেখছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার মধ্যেই একজল লোক লাঠি, কাঠ, ইট নিয়ে হামলা চালায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা(Rahul Sinha)। তাঁর উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সবকিছু হয় পুলিসের সামনে।  এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির ক্ষুব্ধ সমর্থকরাই ওই হামলা করেছে।



আরও পড়ুন-লোকাল ট্রেনের পর লালগোলা সহ বন্ধ হল দূরপাল্লার ট্রেন, জেনে নিন তালিকা 


হামলার ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সবাই বুঝতেই পারছে কারা হামলা করেছে। দেশের একজন নাগরিক, দেশের মন্ত্রী যাচ্ছিলেন। তার উপরে ইট বৃষ্টি, গাড়িতে হামলা হয়েছে। এর দায়িত্ব কার? রাজ্যে কি সরকার নেই! আইনের শাসন নেই! এরকম অরাজকতার পরিবেশ কেন সৃষ্টি হবে? কাশ্মীরে হতো পাথরবাজি। আর এখানে হয় ইটবৃষ্টি। অরাজকতার জন্য কাশ্মীরে যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে থাকে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে হবে বাংলায় কেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবেন না!