Governor: হাওড়া পুর বিল নিয়ে রাজ্যের অ্যডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা চান রাজ্যপাল
শনিবার একটি টুইট করে রাজ্যপাল লিখেছেন, হাওড়া মিউনিশিপ্যাল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সম্পর্কিত সব তথ্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল নিয়ে আপত্তি করেছিলেন রাজ্যপাল। বিলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিতে চেয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তবে এনিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ ব্যাপারে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করতে চান ধনখড়।
বিলটি আটকানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গত ১১ ডিসেম্বর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি কেন বিলটি আটকে রেখেছেন তা বলতে পারব না। বিষয়টি তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এদিকে, অধ্যক্ষের বক্তব্য নিয়ে এদিনই রাজপাল বলেন, হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলটি বিচারাধীন রয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কিছু জানতে গিয়েছিলাম। সেই জবাব আসেনি। উল্টে আমার বিরোধিতা করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছ পাঠাব।
শনিবার একটি টুইট করে রাজ্যপাল লিখেছেন, হাওড়া মিউনিশিপ্যাল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সম্পর্কিত সব তথ্য অ্যাডভোকেট জেনারেলকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যপালকে জানাবেন। এটা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।
আরও পডুন-জোড়া সিরিজে বাদ গেলেন 'ইউনিভার্স বস', পেলেন না ফেয়ারওয়েল
অন্যদিকে, রাজ্যপাল হাওড়া পুর সংশোধনী বিলে সাক্ষর করেছেন বলে একটি জল্পনা রটে যায়। এনিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই বিলে তিনি কোনও সই করেননি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই হাইকোর্টে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে অ্যাডবোকেট জেনারেল জানান, হাওড়়া বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল। এনিয়ে রাজ্যপালের টুইটের পরই আদালতে ভুল স্বীকার করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
কী থেকে এত বিতর্ক? সম্প্রতি হাওড়া পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ছিল ৬৬টি। সেখান থেকে ১৬টি ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে বালি পুরসভায়। সরকারের দাবি, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পুরবাসীদের সুবিধে পৌঁছে দিতেই এরকম সিদ্ধান্ত। তারপরই বিলটি নিয়ে সংঘাত বাধে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের সঙ্গে। বিলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান রাজ্যপাল ধনখড়।