নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্যপালের চা-চক্রে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী খুব খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এমনটা আগে কোথাও হয়নি। আমি বাকরুদ্ধ। রাজ্যপালের ওই মন্তব্যে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে 'আঙ্কেলজি'!, "নজরদারিটা ভালো জানেন আপনার গুজরাটের বস" ধনখড়কে পাল্টা মহুয়ার


তৃণমূল সাংসদ রবিবার বলেন, রাজ্যপালের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চা-চক্রে যাননি। ওঁকে সংবিধানের ১৬৭ ধারা দেখতে বলব। কোথাও বলা নেই, রাজ্যপাল আমন্ত্রণ করলেই যেতে হবে। এটা অসাংবিধানিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী ওই চা-চক্র এড়িয়ে গিয়েছেন করোনা পরিস্থিতির জন্য। উনি কিছু যাতে মনে না করেন তার জন্য আগেই চলে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়াটা সৌজন্যের প্রশ্ন হতে পারে, সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়।


সাংবাদিক সম্মেলন করে রবিবার রাজ্যপাল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়েও মন্তব্য করেন। ধনখড় বলেন, 'কত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আর কত এসেছে, কিংবা কত কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কত পূরণ হয়েছে তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সংবিধানের নিয়ম মেনেই এইসব তথ্য জানানোর কথা বলা হয়।' রাজ্যপালের আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার শুধুমাত্র বিজ্ঞাপণের মধ্যে দিয়ে চলতে পারে না।বাস্তবটা জানা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনার পরিচয় দিয়ে মিষ্টির অর্ডার, হোয়াটঅ্যাপে পাঠানো বারকোড স্ক্যান করতেই উধাও ৭০ হাজার


রাজ্যপালের ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, 'বেঙ্গল সামিটে কত টাকা খরচ হয়েছে সেটা বইতে প্রকাশিত হয়। সেটা দেখে নিলেই পারেন। এটা চিঠি লিখে জানতে চাইছেন! দুর্ভাগ্যজনক। খোঁচা দিতে চাইছেন রাজ্যকে?' অন্যদিকে, পুলিস তার নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে না, তা কি উনি দেখাতে পারবেন? এগুলো কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই পারেন। টুইট করার কী প্রয়োজন!