ভারতীয় সেনার পরিচয় দিয়ে মিষ্টির অর্ডার, হোয়াটঅ্যাপে পাঠানো বারকোড স্ক্যান করতেই উধাও ৭০ হাজার
ঠিক কী ঘটেছিল? ১৪ অগাস্ট যাদবপুরের একটি মিষ্টির দোকানে ২০০কিলো মিষ্টির অর্ডার দেন এক ব্যক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় সেনাবাহিনীর নামে অনলাইন প্রতারণা। ডিজিটাল বারকোড স্ক্যান করে প্রতারণার ঘটনা ঘটল খাস শহরেই। জানা গিয়েছে, ৫ কিস্তিতেই ৭০ হাজার টাকা খোয়ালেন যাদবপুরের বিক্রমগড়ের বাসিন্দা চিত্রদীপ চক্রবর্তী।
ঠিক কী ঘটেছিল? ১৪ অগাস্ট যাদবপুরের একটি মিষ্টির দোকানে ২০০কিলো মিষ্টির অর্ডার দেন এক ব্যক্তি। ফোনে জানানো হয়, ১৫ অগাস্ট দমদমের সেনা ক্যাম্পে ওই মিষ্টির ডেলিভারি দিতে হবে। অর্ডারের পাশাপাশি হোয়াটঅ্যাপে নিজের সেনা আইডি কার্ড, সেনাবাহিনীর নাম ও অ্যাকউন্টের বিস্তারিত পাঠান ওই ক্রেতা।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে 'আঙ্কেলজি'!, "নজরদারিটা ভালো জানেন আপনার গুজরাটের বস" ধনখড়কে পাল্টা মহুয়ার
এরপর অগ্রিম ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানান দোকানের মালিক। অনলাইনে সেই টাকা পেমেন্ট করা হবে বলেন জানান ওই প্রতারক। মিষ্টির দোকানের মালিকের নেট ব্যাঙ্কিং সুবিধা না থাকায় তাঁর পরিচিত চিত্রদীপ চক্রবর্তীর মারফত টাকা লেনদেনের ব্যবস্থা হয়। চিত্রদীপ জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে ডিজিটাল কিছু বারকোড পাঠানো হয়।
ওই বারকোড স্ক্যান করতে বলা হয়। চারবার এইভাবে বারকোড স্ক্যান করতে বলার পর সন্দেহ হতেই ফোন কেটে দেয় চিত্রদীপ। অননলাইনে অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে দেখেন চারবারে মোট ৭০হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
আর এই নয়া কায়দার প্রতারণাই ভাবাচ্ছে দুঁদে গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানা। লালবাজারে অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড শাখাও তদন্ত শুরু করেছে। যে ব্যাঙ্কের বিস্তারিত সেনার নাম পাঠানো হয়েছে তা দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও।
তাঁরা জানাচ্ছেন সুনিপুনভাবে সেই অ্যাকাউন্টসের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এছাড়াও হোয়াটঅ্যাপ প্রোফাইল ডিপিতে যে সেনা অফিসারদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এর নেপথ্যে বড় কোনও চক্র রয়েছে বলেই ধারনা তদন্তকারীদের।