নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকালে 'দুয়ারে রেশন'। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৩টি ২৮টি দোকান থেকে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দপ্তর। এবার কাজও শুরু হয়ে গেল বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাড়গ্রামের বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রামে। সকাল সকালে গ্রামের সাতবাকি মৌজায় রেশনের সামগ্রী নিয়ে হাজির ডিলার সাধন দণ্ডপাঠ। পাড়ার মাঝে একটি ফাঁকা জায়গা দেখে শুরু হল খাদ্যশস্য বিলি। অনেকেরই রেশন নিতে এসেছিলেন। আর যাঁরা এলেন না, তাঁদের বাড়ি পৌঁছে গেলেন রেশন ডিলারের কর্মচারীরাই। প্রথমদিনে নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালালেন  ব্লক, মহকুমার জেলার খাদ্যনিয়ামক দপ্তরের আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন: ফোনে অর্ডার করলেই দেশি-বিদেশি মদের হোম ডেলিভারি, পুলিসের জালে ৪


যিনি রতনপুর গ্রামে রেশন নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সাধন দন্ডপাঠ  ঝাড়গ্রাম রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও। বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে এবার প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে যাবে। তবে, পরিবহণ-সহ অন্য খাতে খরচও অনেকটা বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই বাড়তি খরচের সংস্থানও করে দেন, তাহলে মানুষকে আরও  ভালো  পরিষেবা দেওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পে বাদ গেল না বীরভূমও। সিউড়ির হাটজানবাজারে প্রাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গেল রেশন। খুশি গ্রাহকরা।


আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে প্রেম, বজবজে ছেলেকে গলা কেটে 'খুন' বাবার


কাউকে আর দোকানে গিয়ে, কষ্ট করে রেশন তুলতে হবে না। ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতা এলে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবেন। একুশের ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখলেন মমতা।