শ্রীকান্ত ঠাকুর: বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের কামারপাড়ার বাসিন্দা, শারীরিকভাবে সক্ষম পায়েল পাল। পায়েল ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী অথচ তার এবার উচ্চমাধ্যমিকে তাক লাগানো রেজাল্ট। ৯০ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে সে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: দক্ষিণ আন্দামান সাগরে হঠাৎ এ কী ঘটল? নিম্নচাপ-বলয় থেকে নিম্নচাপ হয়ে তা কি হবে কোনও প্রবলতর ঘূর্ণিঝড়?


শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে হাঁটাচলায় অসুবিধা হয় পায়েলের। স্কুলে যাতায়াত করত সে মায়ের কোলে চেপে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সে এবার ভূগোলে অনার্সে পড়তে চাইছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে শুধু শারীরিক সমস্যাই নয়, সঙ্গে পারিবারিক আর্থিক অবস্থার প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। পায়েলের মা প্রভাতী পাল বলেছিলেন তাঁদের অক্ষমতার কথা। খবর জানাজানি হতেই বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি পড়ে বিষয়টির উপর। বালুরঘাট  মহিলা মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত নেন শারীরিকভাবে সক্ষম পায়েলের পাশে দাঁড়াতে হবে।


গত বুধবার বিকেলে মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি দেবপ্রিয় সমাজদার, কলেজ অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী-সহ পরিচালন কমিটির অন্যান্য সদস্য পায়েলের বাড়িতে যান। তাঁরা পায়েলের হাতে পাঁচ হাজার টাকার একটি চেক এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন। তাকে এই সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছাও জানান তাঁরা। এবং তার অভিভাবকদের পায়েলকে ঘিরে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পায়েল ভূগোল অনার্স নিয়ে বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় পঠন-পাঠন করতে চাইলে আগামী চার বছর ধরে অ্যাডমিশন ফি থেকে শুরু করে পায়েলের পড়ার যাবতীয় খরচ-খরচা তাঁরাই বহন করবেন। গার্লস কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের কথা পায়েলের বাবা দীগেন পাল ও মা প্রভাতী পালকে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের নেওয়া এই সিদ্ধান্তে খুশি পায়েল ও তার পরিবার।


বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ বিমান চক্রবর্তী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর টিভিতে এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে তিনি পায়েলের খবরটি দেখেন। তাঁর মনে হয়, পায়েলের পাশে দাঁড়ানো উচিত, তাকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। তাই শুভেচ্ছাবার্তা দিতে যেমন তাঁরা কামারপাড়ায় এসেছিলেন, তেমনই পরিচালন কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তের কথাটাও জানানো তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল। পায়েলের বাবা দীগেন পাল বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাসে তাঁরা খুশি। 


আরও পড়ুন: Climate Crisis: কেন জীবন বিপন্ন-করা এই দাবদাহ, কেন এ দুঃসহ তাপপ্রবাহ? রহস্য এবার ভাঙলেন বিজ্ঞানীরা...


এদিকে বাড়ি থেকে কলেজ যাওয়ার জন্য এবং সামগ্রিক ভাবেই পায়েলের যাতায়াতের জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থাও প্রশাসনিকভাবে হবে, পায়েলের পরিবারকে এটা জানিয়েছেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।


পায়েল বলেছে, বাড়িতে থাকতে তার ভালো লাগে না। তাই যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা হচ্ছে এটা জেনে তার ভালো লেগেছে। কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকারা তার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার পড়াশোনা যাবতীয় খরচ বহন করতে চেয়েছেন জেনেও পায়েল খুব খুশি। তার স্বপ্ন পূরণ হবে তো?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)