সোমা মাইতি: কোথাও ফুটবল খেললেন, কোথাও গাড়ির সানরুফ থেকে ছাদে উঠে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন। এককথায় জন সংযোগ যাত্রায় ছুটির রবিবার মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা মাতালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নওদার সভায় অভিষেক একেবার খোদ অধীরকেই চ্যালেঞ্জ করে বসলেন। বললেন, এবার লোকসভা ভোটে রাজ্য থেকে ৪০টা আসন চাই। অধীরের সিটও পেতে হবে। কেন চল্লিশ আসন? কারণও ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ছেড়ে কথা বললেন না অধিীর চৌধুরীও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কবে গভীর নিম্নচাপ থেকে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় মোকা; অভিমুখ কোন দিকে, জানাল হাওয়া অফিস 


ভগবানগোলার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থকদের উদ্দেশ্য বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩ সিটই যেন তৃণমূল জেতে। মানুষকে বলতে হবে ভোট ভাগাভাগির কারণে আপনারাই বঞ্চিত হচ্ছেন। তৃণমূলের একটা সিট কমলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু তাতে আপনি বঞ্চিত হবে। আপনি লাঞ্ছিত হবেন। আর একটা সিট যদি তৃণমূল জেতে তাহলে আপনি আপনার অধিকারের টাকা পাবেন। এটা সুপ্রতিষ্ঠিত। তৃণমূল কংগ্রেস যদি আজ ২২ থেকে ৩৪ কিংবা ৩৫ হতো তাহলে কি আটকাতে পারতো? আগামী দিনে ৪০ আসনের লক্ষ্যমাত্র নিয়ে আমরা ঝাঁপাব। মুর্শিদাবাদে তিনে তিন হবে তৃণমূল কংগ্রেস। 


অভিষেকের ওই দাবি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, স্বপ্ন দেখতে তো কোনও মানা নেই। স্বপ্ন দেখতেই পারেন উনি। এর আগে বলেছিলেন ২৪০ আসন পাবেন বিধানসভায়। এখন ৪০ বলছেন। তবে ফোর টোয়েন্টি বলে একটা কথা রয়েছে। তারা আসেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চল্লিশের পাশে ২ বসিয়ে দিন। ফোর টোয়েন্টি হয়ে যাবে। ওঁর হয়তো ৪২০ প্রিয় নম্বর। তাই এসব বলছেন।


এদিকে, এনিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল নেবে ৪০ আসন, বিজেপি নেবে ৩৫ আসন। হয়ে গেল ৭৫ আসন। লোকসভায় বাংলায় মোট ৪২ আসন। কংগ্রেস এখানে তো খই ভাজার জন্য বসে নেই! বহরমপুর ছিনিয়ে নেওয়ার যে গল্প উনি বলছেন সেই গল্প আমি আগেও শুনেছি। খোকাবাবু বা তাঁর পিসিকে আমন্ত্রণ করছি তারা বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করুন। যদি আমি হেরে যাই তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বহরমপুরে এসে খোকাবাবু বা পিসিমনি যদি অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে যেতে পারেন তাহলে রাজনীতিই আর করব না। ওপেন চ্যালেঞ্ থাকল।  


এদিন ভগবানগোলার সভায় অভিষেক বলেন, তৃণমূল কথা রাখেনি কেউ বলতে পারবে? প্রত্যেকটা জায়গায় মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ সালে ২৫টা গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরেছিলাম। দেখে নিন সেখানেও রাস্তা হচ্ছে। আর নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলায় হেরে গিয়ে বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষকে একজোট করতে হবে। কোনও বিভ্রান্তিতে পা দেবেন না। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। চোখে দেখে ভোট দিন। যতদিন মা মাটি মানুষের সরকার আছে ততদিন বাংলায় এনআরসি হবে না। যেখানে কংগ্রেস বা বিজেপি রয়েছে সেখানে এনআরসি হচ্ছে। কংগ্রেস আঙন্দোলনে নেমেছে? লক্ষ্মীর ভান্ডার করে ৩৭ হাজার কোটি টাকা সাধারণ মানুষের ঘরে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর এক পয়সাও কেন্দ্রের নয়। যারা মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিজেপিকে যারা অক্সিজেন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমদের লড়াই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App