নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের তোলাবাজির রোগ ক্রমশ ছড়াচ্ছে বিজেপিতে। দল যত বহরে বাড়তে ততই বাড়ছে অভিযোগ। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত সদ্য তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত সপ্তাহেই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বিজেপি নেতা বাবন ঘোষ। আর এতেই প্রমাদ গুনছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তোলাবাজি রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। তোলাবাজি হচ্ছে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নামে। কিন্তু বিজেপির কোনও শ্রমিক সংগঠনই নেই। ভারতীয় জনতা মজদুর মঞ্চ নামে যে সংগঠন রয়েছে তা RSS-এর শাখা সংগঠন। বিজেপির রাজ্য নেতাদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের বিরুদ্ধে।


 



বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি মাত্রা ছাড়ায় গত সপ্তাহে বাবান ঘোষের গ্রেফতারিতে। রেলের স্থায়ী কমিটিতে সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে বাবান ঘোষের বিরুদ্ধে। টালিগঞ্জের চেনা মুখ বাবান ঘোষ সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যেই মুকুল রায়ের নাম করে ৭০ লক্ষ টাকা নেওয়া ও প্রতারণায় গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন তিনি। 


এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ছাত্র-ফ্রন্ট ও ট্রেড ইউনিয়নের দায়িত্ব তাদের নয়। এই দুই শাখার দায়িত্বে রয়েছে RSS. কিন্তু বাবন ঘোষের মতো বহু সদ্য তৃণমূলত্যাগী নানা নামে ট্রেড ইউনিয়নের সংগঠন খুলে বসছে। সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে তোলাবাজি। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপির নামে কোনও ভাবেই টাকা তোলা যাবে না। তোলাবাজির প্রবণতা রুখতে বিজেপির নামে গড়ে ওঠা সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নকে একটি সংগঠনে রূপান্তরিত করা হবে। তার নাম হবে শ্রমিক মোর্চা। সেজন্য বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব RSS-এর অনুমোদন চেয়েছে। 


মোদী ভাল ইংরাজি বলেন, কিন্তু কিছুতেই বলতে চান না, G7 সম্মেলনে মশকরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের


বিজেপিতে শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার নেই, তাই RSS-এর অনুমোদন ছাড়া নতুন সংগঠন গড়তে পারবেন না এরাজ্যের বিজেপি নেতার। এই মুহূর্তে বিজেপির নামে রয়েছে অন্তত সাতটি শ্রমিক সংগঠন। এই সংগঠনগুলির একটিরও বিজেপির অনুমোদন নেই। এই সাতটি সংগঠনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে আসা লোকজন নেতৃত্বে। প্রশ্ন উঠছে, একের পর এক ভুঁইফোড় ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে উঠলেও কেন এতদিন ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বাবন ঘোষের গ্রেফতারি অপেক্ষা করছিল তারা?