নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা অতিমারিতে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙেচুরে গিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও। ২০২০ সাল থেকে টানা করোনার সঙ্গে লড়াই চালাতে গিয়ে রাজ্য হারিয়েছে বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদেরও। ডাক্তার ও নার্সদের অভাবকে প্রকট করে তুলেছে এই অতিমারিই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 আগামীদিনের কোভিডকালের পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাতে যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকে, সেই বিবেচনা করে এবার নতুন ৬টি মেডিকেল কলেজ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ। 


নির্বাচনের আগে থেকেই ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। তবে ইতিমধ্যেই সেখানে পঠনপাঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন, ট্রেনের কথা কি আলোচনা করেছি? আলোচনা যখন করিনি, তখন বাদ: Mamata


ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরীর কাজ চলছে। সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এসে সেই বিষয়ে তদারকি করেন। ওই প্রতিনিধিদলটি প্রথমে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত সঙ্গে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন। এরপর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই এলাকায় গিয়ে কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। 


মেডিকেল কলেজের বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করেন তাঁরা।  স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন গোপীবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্র নাথ মাহাতো। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সোমবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে আসা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলটি ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ চালু করার  বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন এবং তারা ফিরে গিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে বিস্তারিতভাবে জানাবেন।