নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব থেকে আর নিষ্কৃতি মিলল কই!  তৃতীয় দফায় ভোটের মুখে বিড়ম্বনায় পড়েছেন  তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সদ্য প্রাক্তন কর্মী কমল কুমার হাজরা। এমনটা যে হওয়ার কথা নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলাশাসক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে,  রাজ্য সরকারি কর্মীদের যখন ভোটের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়, তখনও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরে চাকরি করতেন হাওড়ার দাসপুরের বাসিন্দা কমলকুমার হাজরা। নিয়মমাফিক সহকর্মীদের সঙ্গে হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে প্রশিক্ষণ নেন তিনিও। প্রথমে ছিলেন দ্বিতীয় পোলিং অফিসার। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় প্রশিক্ষণের পর হাওড়ারই জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথের প্রথম পোলিং অফিসার হন কমল। কিন্তু ঘটনা হল, ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায়। তখন আর সরকারি কর্মচারী থাকবেন না তিনি!


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভোটের মুখে দলবদলে 'বিড়ম্বনা', BJP প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল শিবপুরে


প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩১ মার্চ সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন কমলকুমার হাজরা। এমনকী, তাঁকে ইতিমধ্যেই বিদায় সংবর্ধনাও দিয়েছেন সহকর্মীরা। তাহলে ভোটের ডিউটির কী হবে? পরিচয়পত্র-সহ যাবতীয় নথি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ বাবদ প্রাপ্য টাকাও ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে! ফলে অবসর নেওয়ার পরেও অফিসে বসে কাজ করতে হচ্ছে কমলকুমারকে। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, 'অবসরের পর কাজ করলে বিপদ আবার না করেও তো উপায় নেই। কী করব,এখনও বুঝতে পারছি না'। হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আচার্য অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, 'অবসরের পর ভোটের ডিউটি করার কথা নয়। তিনি যদি আবেদন করেন, তাহলে ডিউটি বাতিল করা হবে'।