নিজস্ব প্রতিবেদন: 'তৃণমূলের গুন্ডাদের গ্রেফতার করুন।' হোয়াটসঅ্যাপে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে শনিবার অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ খণ্ডন করে কমিশন (Election Commission) জানাল, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একটা অংশের দাবি, তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের গুন্ডাদের (TMC Goons) গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কমিশনের আধিকারিক ও পর্যবেক্ষকরা। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের নির্দেশ দেননি পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অথবা আধিকারিকরা।'' 


নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। তার প্রেক্ষিতে কমিশনের বক্তব্য, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা পশ্চিমবঙ্গে কমিশনের অফিসে এখনও পর্যন্ত অপরাধী নয়, এমন কারও বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থা (Preventive Action) নেওয়ার অভিযোগ আসেনি। কোনও দলের কর্মীকে বেআইনিভাবে গ্রেফতারির ঘটনা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটেনি। আদালতের মামলাও হয়নি। 


কমিশন মনে করিয়ে দিয়েছে, অবাধ, স্বচ্ছ ও হিংসামুক্ত নির্বাচনের জন্য দুষ্কৃতী ও  অতীত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আবশ্যক। তারা ভোটে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি বিধিতে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থান রয়েছে। গন্ডগোল রুখতে তা করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ভোটমুখী রাজ্যের প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,অতীতে ভোটে গোলমাল করেছে, তালিকা তৈরি করতে হবে এমন অপরাধীদের। ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করে যে দুষ্কৃতীরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলাশাসক, পুলিস কমিশনার, পুলিস সুপার, পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সেই তালিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছিল। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মাধ্যমে এই ধরনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন বা পর্যবেক্ষকরা। 


শনিবার বোলপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এক তাড়া কাগজ নিয়ে মমতার (Mamata Banerjee) দাবি করেন,''হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথনে 'টিএমসি গুনস, ট্রাবল মঙ্গার' বলে তৃণমূল কর্মীদের অভিহিত করেছেন পর্যবেক্ষকরা। আমার দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতারের নির্দেশ দিচ্ছে। আমার কাছে যা প্রমাণ আছে, ঠিক করেছি, ভোটের পরে সুপ্রিম কোর্টে আমি যাব।''       


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: ৫ বছরে ৫ হাজার কোটির দুর্নীতি, RTI-নথি দিয়ে Jyotipriyo-র বিরুদ্ধে অভিযোগ Kailash-র