নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এসডিও অফিসে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নেই। তাহলে ব্যারাকপুরের কোন প্রার্থী এলাকায় নিরাপত্তা পাবেন'? শুভ্রাংশু রায়ের উপর 'হামলা'র পর প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। 'মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা হলে নাটক, আর বিজেপি উপর হামলা হলে হামলা'!, পাল্টা মদন মিত্র (Madan Mitra)। ঠিক কী ঘটেছে? জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন (ECI)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC)  ও বিজেপির (BJP) দফায় দফায় সংঘর্ষ। উঠল গুলি চালানোর অভিযোগও। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের দপ্তর লাগোয়া এলাকা। জানা যাচ্ছে, প্রার্থীদের সঙ্গে দুই দলের কর্মীরাও প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে জমায়েত করেন। দুই পক্ষের কর্মী সমর্থকদের কেউ জয় শ্রীরাম ধ্বনি, কেউ আবার জয় বাংলা ধ্বনিতে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূ্ত্রপাত। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫-৬ জনকে।


আরও পড়ুন: Subhashree-কে নিয়ে মনোনয়ন Raj-র, TMC-BJP সংঘর্ষ, চলল গুলি


এবারের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র মুকুল রায়কে (Mukul Roy) প্রার্থী করেছে বিজেপি। বীজপুর কেন্দ্র টিকিট পেয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy)। এদিন যখন ব্য়ারাকপুরের এসডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান, তখন তাঁর উপরেও হামলায় হয় বলে অভিযোগ। শুভ্রাংশুর গাড়িতে রীতিমতো চড়-থাপ্পড় মারা হয়। কারা হামলা চালাল? বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, 'শুভ্রাংশু রায় যখন মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন, তখন হামলা হয়। জগদ্দলের তৃণমূল প্রার্থী সোমনাথ ঝাঁ লোকজন এনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে'। তাঁর দাবি, 'আমরা কমিশনকে বারবার বলছি, ব্যারাকপুরে অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। ক'দিন আগে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কমিশনের কোনও ভূমিকাই নেই। এসডিও অফিসে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নেই। তাহলে ব্যারাকপুরের কোন প্রার্থী এলাকায় নিরাপত্তা পাবেন'?


আরও পড়ুন: 'হুমকি দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল', কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যর


ব্যারাকপুরে বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের উপর 'হামলা' নিয়ে পাল্টা মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। তাঁর সাফ কথা, 'মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা হলে নাটক, আর বিজেপি উপর হামলা হলে হামলা! ভোটের মুখে বাংলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপিই। যে জেলায় ভোট হচ্ছে, সেই জেলায় বসে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভয় দেখাচ্ছেন, পুলিসকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। ফলে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা।