নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তাপকে হার মানিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। তার সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। বিদ্যুত্ না থাকায় ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয়রা। জি ২৪ ঘণ্টায় সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল বিদ্যুত্ দফতর। জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিদ্যুত্ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিদ্যুত দফতরের দাবি, সম্প্রতি গিয়েছে ইদ। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ। এই উপলক্ষে আলোয় সাজানো হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা। তার অধিকাংশই অনুমতিহীন। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা অনুমান করতে পারেননি আধিকারিকরা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে নানা জায়গায় লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। তারও কোনও অনুমতি নেই। 


বিদ্যুত্ দফতর সূত্রের খবর, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন নিগমের এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৬,১৫০ মেগাওয়াট। স্বাভাবিকভাবে এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৪,০০০ মোগাওয়াট। সিইএসই এলাকায় সোমবার বিকেলে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২,১৩১ মেগাওয়াট। রাত ১২টা নাগাদ চাহিদা ছিল ২,০০৬ মেগাওয়াট। সাধারণত এই সময় সিইএসসি এলাকায় চাহিদা থাকে ১,৫০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। 


ওদিকে লাগাতার লোডশেডিংয়ের জন্য ঘুরিয়ে সাধারণ গৃহস্থকেও দায়ী করেছে বিদ্যুত্ দফতর। তাদের দাবি, সম্প্রতি রাজ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগানোর আগে বিদ্যুত্ দফতরের অনুমতি নিতে হয়। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য দিতে হয় বাড়তি কড়ি। সেই পয়সা বাঁচানোর মতলবে বিদ্যুত্ দফতরকে না-জানিয়েই বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসাচ্ছেন অনেকে। যার ফলে লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। যে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বিদ্যুত্ বণ্টন পর্ষদের পক্ষে। 


তাপপ্রবাহে দক্ষিণবঙ্গে মৃত ২, পেশার তাগিদে পথে বেরিয়ে বেঘোরে গেল প্রাণ


মঙ্গলবারের বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাবেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে বৃষ্টি না নামলে সমস্যা মেটার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।