তাপপ্রবাহে দক্ষিণবঙ্গে মৃত ২, পেশার তাগিদে পথে বেরিয়ে বেঘোরে গেল প্রাণ
সপ্তাহ খানেক ধরে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। খুব দরকার ছাড়া কেউ বাইরে বেরোচ্ছেন না। চিকিত্সকদের পরামর্শ, গরমে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে পরতে হবে হালকা রঙের জামা। ব্যবহার করতে হবে ছাতা। সঙ্গে বেশি করে খেতে হবে জল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। দিন কয়েক ধরেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এবার তাপপ্রবাহের জেরে ২ জনের প্রাণ গেল ২ জেলায়। গরমে মৃত্যুর খবর এসেছে বাঁকুড়া ও হাওড়া থেকে। মৃতদের একজন শ্রমিক, অন্যজন লরি চালক।
গত কয়েকদিন ধরেই বাঁকুড়া জেলার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ঘোরাফেরা করছে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার তালডাংরার ভেদুয়া গ্রামে ১০০ দিনের কাজ করার সময় হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েন তারাপদ মাঝি নামে এক শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান গরমে শরীরে জলের মাত্রা কমে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
তাপপ্রবাহে মৃত্যুর দ্বিতীয় খবরটি মিলেছে হাওড়া থেকে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে কানাইদেও সিং নামে এক লরিচালকের। সোমবার লরি নিয়ে মাল বোঝাই করতে বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গরবার সকালের মধ্যে তাঁর ফেরার কথা থাকলেও ফেরেননি। অন্য লরিচালকদের কাছ থেকে লরি মালিক জানতে পারেন, উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে লরিটি। এর পর সেখানে গিয়ে লরিমালিক দেখেন, লরির ছাদে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কানাইদেও। অনুমান মাল বাঁধতে লরির ছাদে উঠে প্রবল গরমে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি, আপনার এলাকায় আসছে কখন জেনে নিন
সপ্তাহ খানেক ধরে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। খুব দরকার ছাড়া কেউ বাইরে বেরোচ্ছেন না। চিকিত্সকদের পরামর্শ, গরমে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে পরতে হবে হালকা রঙের জামা। ব্যবহার করতে হবে ছাতা। সঙ্গে বেশি করে খেতে হবে জল।