মৌপিয়া নন্দী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর পাশাপাশি লোকালয়ে ঢুকে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক হাতির। রাজ্যে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে একই পরিস্থিতি। এরকম এক অবস্থায় হাতিদের বাঁচাতে অভিনব প্রচার অভিযানে নামল বন দফতর। সেখানে হাতি রুখতে বাড়ির চারপাশে বিদ্যুতের তারের বেড়া দেওয়া ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সাবধান করছে সরকার।


আরও পড়ুন-স্বমেজাজে বিমল গুরুং, শিলিগুড়ির সভা থেকে দিলেন বিজেপিকে উত্খাতের ডাক


গত ৩০ নভেম্বর জল খেতে এসে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের নিশ্চিন্তা জঙ্গলে এক হাতির মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। যে জায়গায় হাতিটি মারা গিয়েছিল তার পাশ দিয়েই গিয়েছে হাইটেনশন তার। ওই তারে লেগেই হাতিটির মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হয়েছিল।


গত ২৭ জুলাই মালবাজারে এক হাতির মৃতদেহ মেলে। মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের হিলা চা বাগানের ১৯ নম্বর সেকশনে ওই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত বছর অগাস্টেই মালবাজারের তারঘেরা রেঞ্জে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়। গত বছরই অক্টোবরে গজলডোবায় মিলন পল্লীতে মাঠে ধান খেতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় মারা যায় একটি পূর্ণ বয়স্ক হাতি। এভাবেই ট্রেনের ধাক্কার পাশাপাশি লোকালয়ে এসে মৃত্যু হয়েছে হাতিদের। এর পেছেন রয়েছে বাড়ি বা খেতের চারপাশে বিছিয়ে রাখা বিদ্যুতের তার। সেই ধরনের কার্যকলাপ রুখতে উদ্যোগী হল রাজ্য বন দফতর।


আরও পড়ুন-নিজের ডিম্বাণু দিয়ে পিতৃত্বের স্বাদ দিলেন বাবা ও প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডকে!


গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এনিয়ে একটি বৈঠক হয় রাজ্য বিদ্যুত্ দফতর ও বন দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে বহু ক্ষেত্রে হাতির মৃত্যুর জন্য দায়ী বনাঞ্চল ঘেঁসা বাড়ির চারদিকে বিছিয়ে রাখা বিদ্যুতের তার। এরকম ঘটনা রুখতে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল কাজ করবে পুলিস ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে। তারা গ্রামবাসীদের বিদ্যুতের বেড়া দেওয়া আটকানোর পাশাপাশি  এলিফেন্ট করিডোরে কাঁটাতাদের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি, যে সই হাই ভোল্টেজ তার মাটির কাছাকাছি রয়েছে তা উুঁচু পোল পুঁতে আরও ওপরে তোলার ব্যবস্থা করবে।