নিজস্ব প্রতিবেদন: আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস(Cyclone Yaas) মোকাবিলায় কোনও রকমের ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্য।  ইতিমধ্যে নবান্নর পাশে উপান্নতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৫ এবং ২৫ মে রাতে সেখানে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এছাড়া নবান্নের তরফে সাগর, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। স্থানীয় প্রশাসনকে ২ লক্ষ জলের পাউচ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি মজুত রাখা হয়েছে। ২০টি স্যাটেলাইট ফোন এবং ২৫টি ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি। মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আগাম বৈঠক হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ত্রিপল, সাবান, চাল, ডাল, বেবিফুড। উপকূলবর্তী এলাকার ৩ লক্ষ মানুষের জন্য ১১৫টি আয়লা সেন্টার এবং ২৫০টি আইসিডিএস স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলিকে বাড়তি বেড ও ওষুধের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


 



আরও পড়ুন: বিধায়ক Lovely Maitra-কে অশালীন মেসেজ ও হুমকির অভিযোগ, ধৃত BJP কর্মী


ইয়াস (Cyclone Yaas) মোকাবিলায় কলকাতা পুলিশের তরফে ২০টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক টিমে থাকছেন ৫ জন সদস্য। তাঁরা ডিসি কমব্যাটের অধীনে কাজ করবেন। আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার টিমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অত্যাধুনিক গাছ কাটার মেশিন। সতর্ক করা হয়েছে ট্র্যাফিক বিভাগকেও। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আজ ফের বৈঠকে বসবে কলকাতা পুরসভা।


জানা গিয়েছে, এবার অনেক বেশি সতর্ক কলকাতা পুরসভা। আমফানের সময়ে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। প্রতিটি দফতরে নির্দিষ্ট কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অফিসারদের মধ্যে নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শিফটে কাজ চলবে। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সাহায্য করতে প্রস্তুত উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌ সেনাও।