নিজস্ব প্রতিবেদন: শিল্পের জন্য জমি দেওয়ার পদ্ধতি আরও সরল করছে রাজ্য সরকার। এবার সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা-র মাধ্যমে শিল্প স্থাপনের জন্য দ্রুত জমি পেয়ে যাবেন শিল্পপতিরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন এমন ব্যবস্থা?


রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এতদিন বড়, মাঝারি ও ছোট শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প স্থাপনের জন্য জমির আবেদন করতে হত পৃথকভাবে। জমি দেওয়া হত পৃথক সংস্থা থেকে। এবার সেই নিয়ম থেকে সরে আসছে সরকার। রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ছোট, মাঝারি, বড়-যেকোনও ধরনের শিল্পের জন্য জমি দেওয়া হোক না কেন তা দেওয়া হবে এক জায়গা থেকেই। অর্থাত্ সিঙ্গল ইউন্ডো থেকেই জমি পেয়ে যাবেন শিল্পপতিরা।


আরও পড়ুন-'সময় কথা বলবে,' কোচবিহার তৃণমূলে বড়সড় ভাঙনের ইঙ্গিত সিতাই বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার


এতদিন বড় শিল্পের জন্য জমি পেতে গেলে আবেদন করতে হত WBIDC-র কাছে। ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য জমি পেতে আবেদন করতে হত WBSIDC-র কাছে। শিল্প সংক্রান্ত যে কোনও পরিকাঠামো তৈরির জন্য জমির প্রয়োজন হলে যেতে হত WBIIDC-র কাছে। অন্যদিকে, তথ্য প্রযুক্তি শিল্প তৈরির জমি পেতে গেলে ওই দফতরে আবেদন করতে হত। আবেদন খতিয়ে দেখে জমি বরাদ্দ করা হত। সবেমিলিয়ে জমি পেতে লেগে যেত বেশ খানিকটা সময়। এবার তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আশা রাজ্য সরকারের।


নতুন নিয়মে কোনও শিল্পপতি যে কোনও ধরনের শিল্পের জন্য জমি চাইলে তা দেওয়া হবে সিঙ্গল উইন্ডো থেকেই। এনিয়ে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্য়ান রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এতদিন জমি পেতে যে দীর্ঘ সময় লাগত তা নতুন নিয়মের ফলে আর লাগবে না। দ্রুত জমি পেয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন শিল্পপতিরা।


আরও পড়ুন-বাবা কেড়ে নিচ্ছে মেয়ের মুখের খাবার! অভিযোগ জানাতে ১০ কিমি হেঁটে মেয়ে পৌঁছল থানায়!


যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে শিল্পের জন্য জমি তৈরি রয়েছে


১, বাঁকুড়া-১৮ একর


২. হাওড়া-৩৫ একর।


৩. জলপাইগুড়ি/ শিলিগুড়ি-৮৪ একর।


৪. মুর্শিদাবাদ-১২৯ একর।


৫. পশ্চিম মেদিনীপুর-৪৭৪ একর।


৬. পশ্চিম বর্ধমান-৩৮০ একর।


৭. দক্ষিণ ২৪ পরগনা-২২৭ একর।


৮. হুগলি-১০ একর।


৯. আলিপুরদুয়ার-৫৪ একর।


সব মিলিয়ে ১৪১১ একর।



রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় শিল্প গড়ার মতো জমি



১. নদিয়া-২০০ একর(হরিণঘাটা ও কল্যাণী)


২. পশ্চিম মেদিনীপুর-৭৬০ একর(গোয়ালতোড়)


৩. পূর্ব মেদিনীপুর-২১৬ একর(হলদিয়া)


৪. পুরুলিয়া-৩১৯৯ একর(রঘুনাথপুর ও জয়পুর)


৫. বাঁকুড়া-৫৫ একর(বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি)


৬. দক্ষিণ দিনাজপুর-৭ একর(বালুরঘাট)


৭. ঝাড়গ্রাম-১৯৩ একর।


সব মিলিয়ে ৪৬৩০ একর