নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রপতি শাসন জারির যাবতীয় কারণ মজুত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তবে তা করে মমতার পথ সুগম করতে চায় না বিজেপি। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে জিতবে বিজেপি। সেজন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রয়োজন নেই। শনিবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক প্রশ্নের উত্তরে একথাই বলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বাবুল এদিন বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির যাবতীয় কারণ রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কাউকে অপসারণ করলে পরের ভোটে সে সমবেদনার জেরে কিছু ভোট পায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সিমপ্যাথেটিক নয়, প্যাথেটিক হবে।'


বাবুল জানান, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছে বিজেপি। ২টিতে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন আমাদের প্রার্থীরা। সেটা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অস্বস্তির কারণ হতো। ফলে এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে আমরা জেতার জায়গায় পৌঁছে গেছি। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দরকার নেই। 


গোটা দলকে চোর প্রমাণ করে নিজেকে সতী প্রমাণ করার চেষ্টায় আছেন মমতা: অধীর


আসানসোলে শুক্রবারের বিজেপির কর্মসূচিতে উত্তেজনা নিয়েও বলেন বাবুল। বলেন, বিজেপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তৃণমূলের নির্দেশে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে পুলিস। মহিলা বিজেপি কর্মীদের পুরুষ পুলিস পিটিয়েছে। আহত বিজেপি কর্মীরা রাতে হাসপাতাল থেকে বেরোতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোলে হারের বদলা নিচ্ছে তৃণমূল। আমাকে সাংসদ কোটার টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না। 


বলে রাখি, শুক্রবার আসানসোলে ছিল বিজেপির স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি। পর্যাপ্ত জলের দাবিতে আসানসোল পুরনিগমে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। পথে ব্যারিকেড করে আটকায় পুলিস। এর পরই সংঘর্ষ বাঁধে ২ পক্ষের। বাবুলের অভিযোগ, পুলিসের আড়ালে বোম - বন্দুক নিয়ে ছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাঠানো গুন্ডারা। পুলিসের টিয়ার গ্যাসের আড়ালে লুকিয়ে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছে তারা।