নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত মামলার শুনানি সিঙ্গল বেঞ্চেই পাঠাল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় সিঙ্গল বেঞ্চে হবে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি। হাইকোর্টের নির্দেশ, সিঙ্গল বেঞ্চকে যত দ্রুত সম্ভব পঞ্চায়েত মামলা শেষ করতে হবে। বিচারপতিদের আরও নির্দেশ, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে প্রতিদিন শুনানি করতে হবে এবং দরকারে দীর্ঘ শুনানি করতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবারের রায়ের পর তৃণমূলের আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসেই তিনি ফের সওয়াল করবেন। তাঁর কথায়, 'বিজেপি-র মামলাটির কোনও মান্যতা নেই, সে কথা আরও একবার বিচারপতিকে জানাব।' তবে এখনই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।


পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঘিরে রাজ্য জুড়ে অশান্তির অভিযোগে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। ভোট প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে যায় তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত আইন না জেনেই তিনি পদে রয়েছেন? কমিশন সচিবকে কটাক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের


এদিন, হাইকোর্টে জোর সওয়াল করেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, আদালতে তথ্য গোপন করেছে বিজেপি। একই মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হলেও সেই তথ্য হাইকোর্টের কাছে গোপন করে গেছে বিজেপি।


দুই বিচারপতি এদিন তৃণমূলের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা চলছে, তবুও আপনারা কেন ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন?’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে বলেন, রিট পিটিশনের শুনানি করতে পারে না সিঙ্গল বেঞ্চ, তাই ডিভিশন বেঞ্চে এসেছি।’ এরপর বিচারপতিদ্বয় পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘সিঙ্গেল বেঞ্চে পিটিশন দাখিলে কার আপত্তি?’ পঞ্চায়েত আইনের ৪৬(২) ধারা উল্লেখ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৯ এপ্রিলে কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অবৈধ। যদিও শাসকদলের আইনজীবীর বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন বিচারপতিরা।  বিচারপতিদ্বয়ের মন্তব্য, "সিঙ্গেল বেঞ্চের মনোভাব আগাম আন্দাজ করা ঠিক নয়।" তৃণমূল আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথমেই সিঙ্গল বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।