ওয়েব ডেস্ক: চাপের মুখে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে রাজ্যের প্রস্তাব মেনে নিল কমিশন। একদফাতেই হবে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটগ্রহণ ১৪ মে। অর্থাত্ রমজানের আগেই মিটে যাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধীদের অভিযোগকে স্বীকৃতি দিয়ে ২০ এপ্রিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পঞ্চায়েতের পূর্ব ঘোষিত নির্ঘণ্টকে খারিজ করে দেয়। কমিশনকে নির্দেশ দেয় নতুন করে দিন ঘোষণার। তারপর থেকে দফায়-দফায় বৈঠকে বসে রাজ্য ও কমিশন। কিন্তু, কয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে? কবে ভোটগ্রহণ হবে? সেই ইস্যুতে কিছুতেই সহমত হতে পারছিল না উভয়পক্ষ।


আরও পড়ুন, একদফায় পঞ্চায়েত: ভোট ১৪ মে, ফল গণনা ১৬-য়, প্রস্তাব রাজ্যের


কমিশন চেয়েছিল তিন দফায় ভোট করতে। কিন্তু রাজ্যের দাবি ছিল, রমজানের আগেই শেষ করতে হবে ভোটপ্রক্রিয়া। সেই মর্মে দু'দফার বেশি ভোটগ্রহণে কোনওভাবেই রাজি হচ্ছিল না নবান্ন। উল্লেখ্য, এরপর বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজ্যের প্রস্তাবকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য পঞ্চায়েত দফতরের স্পেশাল ডিউটি অফিসার সৌরভ দাসকে নির্দেশ দেয় কমিশন।


এদিন একদফায় ভোট চেয়ে কমিশনে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় রাজ্য। শেষপর্যন্ত রাজ্যের এক দফার দাবিই মেনে নিল কমিশন। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠতে চলেছে নিরাপত্তা ইস্যুতে। রাজ্য পুলিসের মোট সংখ্যা ৫৮ হাজার। তারমধ্যে ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিস। অন্যদিকে, রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৫৮,৪৬৭টি।


আরও পড়ুন, কত দফায় কবে কোন জেলায় ভোট? রাজ্যকে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ কমিশনের


উল্লেখ্য, সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ভোটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এখন একদফায় ভোট হলে এই সংখ্যক পুলিস দিয়ে এত সংখ্যক বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব কিনা, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। এদিকে ভোটে আধাসেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেছে নবান্ন।