নিজস্ব প্রতিবেদন : বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোল ছাড়া রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। নির্বিঘ্নে মিটেছে ভোটগ্রহণ। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই বেশি মার খেয়েছেন। মোট ৬ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এদিনের ভোটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রেখেছেন প্রশাসনিক কর্তা-আধিকারিকরা। কমিশনের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করেছে প্রশাসন। তৃণমূল কর্মীরাও যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে তারপরেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ৬ জন তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।


আরও পড়ুন, বাড়িতে পৌঁছে যাবে লাল গোলাপ, উল্টো করে ধরলে কাঁটা ফুটবে : অনুব্রত মণ্ডল


একইসঙ্গে তিনি বলেন, "কাকদ্বীপের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ওই দম্পতি। গ্রামীণ ঝগড়ায় মৃত্যু হয়েছে বেলডাঙায়। নওদায় মৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় পুলিস। আমডাঙায় বোমা বহন করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। নন্দীগ্রামে বোমা নিয়ে যাচ্ছিলেন সিপিএমের দুই কর্মী। সেই বোমাতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।"


এই পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি এক 'নোংরা খেলা' খেলেছে বলে অভিযোগ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে সমর্থকদের নিয়ে এসে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ভোটের ফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে বিএসএফকেও ব্যবহার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক


তিনি বলেন, টিভিতে দেখা গেছে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন জওয়ানরা। কোনও অনুমোদন না নিয়েই বিএসএফ জওয়ানদের ভোটে ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-