নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলা বাড়তেই ভোট কাড়ল প্রাণ। বেলা ১২টা পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি ৩। উত্তর ২৪ পরগনায় আমডাঙায় বোমাবাজিতে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম কর্মীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম তৃণমূল কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, নদিয়ার শান্তিপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় এক দুষ্কৃতীর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী এনে হামলা চালিয়েছে বিজেপি’, বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়


আমডাঙার পাঁচপোতায় বুথের বাইরেই বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তাইবুর গায়েন নামে ওই ব্যক্তি সিপিএম কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিযোগ, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন এফডি স্কুলের বুথে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কিছু বহিরাগত মুখে কালো কাপড় বেঁধে বোমাবাজি করতে করতে বুথে ঢোকে। সে সময় বোমায় গুরুতর আহত হন তাইবুর গায়েন নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর বুকে, হাতে-পায়ে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এরপর তাঁকে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।  


আরও পড়ুন:  বুথের মধ্যে বিজেপি এজেন্টকে চড় মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে নয়াপাড়ায় গুলবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। আরিফ আলি গাজি নামে ওই তৃণমূল কর্মী সকালে ১০ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে। আরিফ আলির বুকে লাগে সেই গুলি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগের তির এসইউসিআই-এর দিকে।


অন্যদিকে, শান্তিপুরের বিবেকানন্দ রোডে সঞ্জিত প্রামাণিক নামে এক দুষ্কৃতিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন ওই যুবক ও তার সঙ্গীরা বাইক নিয়ে এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব করে। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাদের ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। তার মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয় সঞ্জিত। তার শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয় তার।