তথাগত চক্রবর্তী: কুলতুলিতে সিপিআইএম-এর পঞ্চায়েতের প্রার্থীর স্বামীর উপর হামলা। হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত আবদুল হালিম সরদার। অভিযোগ, কুলতলি থানার সামনে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন আবদুল হালিম সরদার। সেই সময়ই রবিবার রাতে ৯ নম্বর সোনাটিকারি গ্রামে রাস্তায় প্রথমে তাঁর পথ আটকানো হয়। তারপর  লাঠি, রড, কাঁচের বোতল ভেঙে তাঁকে মারধর শুরু করে এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় আবদুল হালিম সরদারের চিৎকার শুনে ছুটে আসে এলাকার মানুষজন। তখন দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। মারধরের চোটে গুরুতর আহত হন আবদুল হালিম সরদার। আহত অবস্থায় হালিম সরদারকে উদ্ধার করে গ্রামেরই মানুষজন। তাঁরাই জখম আবদুল হালিম সরদারকে উদ্ধার করে জামতলায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন হালিম। ঘটনায় আক্রান্ত হালিম অভিযোগ করেন, কুলতুলি ব্লকের লালগোড়া পঞ্চায়েতের ২২০ নম্বর নলবড়া বুথে পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে আজ অর্থাৎ সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা তাঁর স্ত্রী রিজিয়া সর্দারের। তার আগেই এই হামলা। 


হামলার ঘটনায় হাতে ও বুকে আঘাত পেয়েছেন হালিম। এর আগে ২০১৮ সালেও তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত হালিম। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কুলতুলি তৃণমূল ব্লক সভাপতি পিন্টু প্রধান দাবি করেছেন, পারিবারিক গন্ডগোলের জেরেই এই হামলার ঘটনা। এর সাথে তৃণমুলের কোনও যোগাযোগ নেই। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের মনোনয় জমার প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। এমনকি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীও। এরপর বিডিও অফিসের বাইরে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়েছেন তৃণমূল নেতাও। রাজ্যজুড়ে এই অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিবা সিনহাকে তলব করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তলব পেয়েই তড়িঘড়ি বৈঠক মাঝপথে থামিয়েই রাজভবন ছোটেন কমিশনার। আধ ঘণ্টার মত রাজভবনে থাকেন রাজিবা সিনহা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে হাত নাড়িয়ে বেড়িয়ে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কোনও মন্তব্য করেন না তিনি।


পরে জানা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিস ফোর্স নিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্যপাল। যথেষ্ট ফোর্স আছে কিনা, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন হবে কিনা নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চান রাজ্যপাল। পাশাপাশি, মনোনয়ন পর্বে অশান্তি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস কমিশনার রাজিবা সিনহাকে নির্দেশ দেন, নমিনেশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নের দিকে নজর দিক কমিশন।


উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ মানবাধিকার পর্যবেক্ষক। সেইসঙ্গে মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারার জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কমিশন।


আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: অব্যাহত বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গের গজলডোবা



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)