নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী তো রয়েইছেন, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে বীরভূমে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলকে। জোড়া যুদ্ধ জেতার পর জি ২৪ ঘণ্টা ডট কম-কে ফোনে দুধকুমারের প্রতিক্রিয়া,''এটা মানুষের জয়। গণতন্ত্রের জয়। রাজ্যের সব প্রান্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে মানুষের রায় প্রতিফলিত হবে।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বীরভূমে একটা সময় জমে উঠেছিল অনুব্রত বনাম দুধকুমারের লড়াই। জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পর আড়ালেই চলে যান দুধকুমার। পঞ্চায়েতে জেতার পর আবার প্রচারের আলোয় তিনি। বললেন, ''সময় এলে প্রমাণ করে দেব।'' কাদের প্রমাণ করবেন? বীরভূমের লালমাটিতে কানাঘুষো, দুধকুমারকে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বিজেপিরই একটা অংশ। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির জনপ্রিয়তাই না-পসন্দ ওই নেতাদের। কী বলবেন? দুধকুমারের সংযত জবাব, ''কে পাশে ছিল? কে ছিল না? বলতে পারব না। কতটা সফল হয়েছে তারা?   মানুষ আমার পাশে রয়েছে।''


২০১৯ সালের আগে আবার অনুব্রত ও দুধকুমারের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি হলে কী করবেন? পারবেন কেষ্টর চ্যালেঞ্জ সামলাতে? দুধকুমার বলেন,''ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে আমার লড়াই নয়। আমি দলের অনুগত সৈনিক। দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে চলব।'' এরইসঙ্গে ইঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিলেন, জনসমর্থন তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। দুধকুমারের কথায়,''বীরভূমের মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে। সময় এলে প্রমাণ করে দেব।'' 


বীরভূমের ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ব্রাহ্মণবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩১০ টি ভোটে জয়ী হয়েছেন দুধকুমার মণ্ডল। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই জয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন দুধকুমার মণ্ডল। বিজেপির নেতৃত্বের পাশাপাশি অনুব্রতকেও বুঝিয়ে দিলেন, পদ চলে গেলেও দুধকুমার আছেন আগের মতোই।


আরও পড়ুন- ... বাকিটা লোকসভায় দেখাব: অনুব্রত মণ্ডল