নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নে শাসকের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের অভিযোগের জবাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বিঁধলেন রাজ্যপালকে। 
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয় পেশ শুরু হতেই জেলায় জেলায় শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রথম দু'দিনে একাধিক জায়গায় ঝরেছে রক্ত। এমনকী তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে এক দলীয় কর্মীর। লাগাতার অভিযোগের মুখে মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে যুক্তিবাণ সাজিতে বসেন তৃণমূল মহাসচিব। এদিন পার্থবাবু বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রথম দুদিনে তৃণমূল মোট ১,৬১৪টি মনোনয়নপত্র পেশ করেছে। উলটো দিকে বিরোধীদের পেশ করা মনোনয়ন পত্রের সংখ্যা ১৮২১। এর মধ্যে বিজেপি জমা দিয়েছে ১১৪৬টি মনোনয়নপত্র। সিপিএম ৩৫১ ও কংগ্রেস ১২৭টি মনোনয়নপত্র পেশ করেছে।' বিরোধীদের পার্থবাবুর প্রশ্ন, ‘কোথায় মনে হচ্ছে বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেনি?’  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে, রাজ্যপালকে জানালেন নির্বাচন কমিশনার


একই সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘যেভাবে শাসানি, কুবাক্য চলছে, তার কোনও সত্যতা নেই।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির অন্যান্য নেতারা যে ভাষার কথা বলছে, তা কি নির্বাচনী বিধিসম্মত? প্রশ্ন তোলা হবে নির্বাচন কমিশনারের কাছে।’


রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিস্ফোরক পার্থ বলেন, ‘রাজভবন যেভাবে চলছে, তাতে মনে হচ্ছে কোনও রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠনের মাথা হিসাবে কাজ করছে। ঘটনা বিস্তারে না জেনে পদক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল।’ খুব শীঘ্রই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাজভবনে যাবে বলে জানান পার্থ। 


আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কত বাহিনী রয়েছে রাজ্যের কাছে? কমিশনারকে প্রশ্ন রাজ্যপালের


রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলাকারীরাই রাজ্যপালের ছাতার তলায় আশ্রয় নিচ্ছে। মনোনয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এটা অসত্য তথ্য। তৃণমূলের নামে মিথ্যাচার চলছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে প্রকৃত সত্য জানাব।’
রায়গঞ্জে অস্ত্র হাতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের নেপথ্যে বহিরাগত তত্ত্বই খাড়া করেন তৃণমূল মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বহিরাগতদের রাজ্যে ঢুকিয়ে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে।’ বিজেপিকে তোপ দেগে পার্থ বলেন, ‘বহিরাগতদের দিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সাম্প্রদায়িক তাস খেলছে, উন্নয়ন ব্যাহত করছে বিজেপি।’
সাংবাদিক সম্মেলন শেষ হতে না হতেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।