নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক শিবিরের ঘর ভাঙানোর নয়া কৌশল। যেসব আসনে দল প্রার্থী দিতে পারেনি সেখানে বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির। শাসকদলের বিক্ষুদ্ধদের কোথাও দলীয় প্রতীক দিয়ে, কোথাও নির্দল হিসাবে সমর্থন জোগাবে দল, এমনটাই খবর পদ্ম সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাখির চোখ ২০১৯। আর তারই মহড়া রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে। পদ্মশিবিরের টার্গেট একটাই, রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে নিজেদের তুলে ধরা। তার জন্য চেষ্টা কসুর নেই দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের। একদিকে চলছে আইনি লড়াই। অন্যদিকে, জাতীয় মঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণে মনোনয়ন পর্বের অশান্তিতে আহতদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মুকুল রায়। মাটি কামড়ে প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারইমধ্যে নয়া কৌশল। শাসকের ঘর ভাঙিয়ে নিজেদের ঘর গুছোতে চান মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষরা।


আরও পড়ুন, হাইকোর্টে গৃহীত নিরাপত্তা বিষয়ক আদালত অবমাননার মামলা


গতবার পঞ্চায়েতের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। এবার সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার প্রায় ৩৫ হাজার আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। কিন্তু, এখনও ২৩ হাজার আসন এমন রয়ে গেছে যেখানে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। সেইসব জায়গায় নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল প্রার্থীদের দিকেই নজর পদ্মশিবিরের।


পরিসংখ্যান বলছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছে তৃণমূলের। গ্রাম পঞ্চায়েতে অতিরিক্ত মনোনয়ন ১১,০৮৬টি। পঞ্চায়েত সমিতিতে অতিরিক্ত মনোনয়ন ৩৬৪৩টি। জেলা পরিষদে অতিরিক্ত মনোনয়ন ২৬০টি। তিনটি স্তর মিলিয়ে মোট অতিরিক্ত মনোনয়নের সংখ্যা ১৪,৯৮৯। অতিরিক্ত এই প্রায় ১৫ হাজার 'বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল' প্রার্থীকেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি।


আরও পড়ুন, রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানাতে আক্রান্তদের নিয়ে দিল্লিতে দরবার রাজ্য বিজেপির


যেখানে নিজেদের প্রার্থী নেই সেখানে এই বিক্ষুদ্ধ প্রার্থীদের সমর্থন দেবে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, বিক্ষুদ্ধদের দলের প্রতীক দেওয়া হতে পারে, কিংবা নির্দল হিসাবে সমর্থন জোগাতে পারে বিজেপি। দলের ম্যানেজারদের বক্তব্য, এই ১৫ হাজারই বদলে দিতে পারে অনেক হিসেব নিকেশ। পঞ্চায়েতে এই কৌশল কাজ করলে, পরের ধাপে লোকসভা ভোটেও প্রয়োগ করা হবে একই স্ট্র্যাটেজির। ইঙ্গিত শীর্ষ নেতৃত্বের।