নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষাকাল মোটামুটি এসে গিয়েছে রাজ্যে। আর সেই কারণে জঙ্গল এবং নিচু এলাকায় জমা হচ্ছে বৃষ্টির জল। আর এতেই উপদ্রব বাড়ছে সাপের। মালবাজার মহকুমা জুরে লোকালয়ে প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে বিষধর এবং নির্বিষ সাপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন নাগ্রাকাটা ব্লকের একই স্থান থেকে দুইটি  সাপ উদ্ধার করেন সৈয়দ আব্দুল নঈম বাবুন। বাবুন জানান,  চেংমারী চা বাগানের রোহিত আগরওয়াল কাছ থেকে খবর পেয়ে সাপ উদ্ধার করতেব বাগানে যান।কয়েক ঘণ্টা পরিশ্রমের পর রোহিতের ঘরের বাইরে থেকে একটি 'রেট স্নেক'-ও উদ্ধার করা হয়।সাপ তিনটিকে খুনিয়া বনদফতরের হাতে তুলে দেন সৈয়দ বাবুন।


খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক জানান, সাপগুলোর  স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে অন্য একটি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লা থেকে বিশালআকারের অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। 


আরও পড়ুন, কাজের বরাত পাওয়া নিয়ে বিবাদ! সাঁতরাগাছিতে রেলকর্মীর ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে চলল গুলি


এদিন মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা ৫ নম্বর লাইনের জনৈক মংরা ওঁরাও-এর বাড়ির পাশে ওই সাপটি দেখতে পায় এলাকার মানুষ।খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় উপচে পরে এলাকায়।খবর দেওয়া হয় চালসার সর্প প্রেমী যুবক দিবস রাইকে।দিবস এসে সাপটি উদ্ধার করে বস্তাবন্দী করে নিয়ে যায়।সাপটি সুস্থ থাকায় সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে দিবস জানায়।


পাশাপাশি মালবাজার শহরের গুরুদুয়ারা এলাকার এক বাড়ি থেকে একটি কপার হেডেড ট্রিনকেট প্রজাতির সাপ উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দিল পরিবেশ প্রেমী স্বরুপ মিত্র। 


এদিন ক্যাল্টেক্স মোরে গুরুদুয়ারা এলাকার এক বাড়িতে সুদীর্ঘ সাপটিকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। সাপটি একটি পাইপের মধ্য পেচিয়ে ছিল। বিরাট লম্বা সাপ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মাল মাউন্টেন ট্রেকার ফাউন্ডেশন নামের পরিবেশ প্রেমী সংস্থার সম্পাদক স্বরুপ মিত্র। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টার পর তিনি সাপটিকে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি করেন। পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।