মিলেছে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ছাড়পত্র, শীঘ্রই শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প `ভোরের আলো`র কাজ
জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ছাড়পত্র মিলেছে। কালীপুজোর আগেই শুরু হবে মালবাজারের গাজলডোবায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোর কাজ। সোমবার হাওয়া মহলে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
ওয়েব ডেস্ক: জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ছাড়পত্র মিলেছে। কালীপুজোর আগেই শুরু হবে মালবাজারের গাজলডোবায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোর কাজ। সোমবার হাওয়া মহলে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
পাহাড় হোক বা সমতল। পর্যটনের দিকে বরাবর নজর মুখ্যমন্ত্রীর। কোনও জায়গা তাঁর পছন্দ হলেই হল। সেখানে নতুন কিছু করার উদ্যোগ নেওয়ায় জুরি মেলা ভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেরকমই মালবাজারের গজলডোবা। প্রকৃতি এখানে নিজের মত করে সেজেছে। পাহাড়-নদী-জঙ্গল। পর্যটক টানার সব রসদই আছে এখানে। যেটার অভাব, সেটা হল থাকার সু ব্যবস্থা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে একটি রিসর্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার নাম ভোরের আলো।
সবুজের মধ্যে রিসর্ট। তাই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। খুব সম্প্রতি সেই অনুমতি মিলেছে। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থা এই প্রকল্প বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। জমা দিয়েছে DPR। অন্য একটি সংস্থা DPR জমা দেবে আগামী মাসে।
শুধু রিসর্ট নয়। তৈরি হবে একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটও। সূত্রের খবর, দুই প্রকল্পে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে ৩০ জুন শিলিগুড়িতে একটি বৈঠক করবেন পর্যটনমন্ত্রী। জুলাই মাসে বৈঠক করবেন কলকাতায়।
এছাড়া গজলডোবায় তৈরি হবে একটি পাখি বিতান, পিলখানা, সংগ্রহশালা। পাশাপাশি গজলডোবা থেকে ক্যানাল রোড বরাবর সমান্তরাল একটি সড়কের মাধ্যমে লাটাগুড়ির সঙ্গে সংযোগস্থাপনের রাস্তাও তৈরি হবে। যার ফলে শিলিগুড়ি থেকে লাটাগুড়ির দূরত্ব কমবে ২৯ কিলোমিটার। এছাড়া সরস্বতীপুর হয়ে বেঙ্গল সাফারিতে যাওয়ার জন্য সড়ক তৈরির পরিকল্পণা রয়েছে রাজ্য সরকারের। হাওয়া মহলে বৈঠকের পর সরকারি পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন পর্যটন মন্ত্রী। তাঁর আশা, কালী পুজোর আগেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।