West Midnapore: অন্যের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরী! অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা
এই বাড়ি তৈরির পেছনে স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনীষা নন্দীগ্রামীর স্বামী গুরুপদ নন্দীগ্রামীর মদত রয়েছে এমনই অভিযোগ। জোর করে তাদের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরীর বিষয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক ও মহকুমা পুলিস আধিকারিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জগন্নাথ মাইতি ও তাঁর ছেলে অনুপ মাইতি।
চম্পক দত্ত: অন্যের জায়গা জোর করে দখল করে বাড়ি তৈরীর অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি আদালতের নির্দেশকেও অমান্য করে চলছে বাড়ি নির্মাণের কাজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের দাসপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়াঘাটা এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা হরিপদ বারিকের বিরুদ্ধে। জানা যায় বেলিয়াঘাটা এলাকার জগন্নাথ মাইতি ও তার ছেলে অনুপ মাইতির অভিযোগ তাদের জায়গা জোর করে দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে ওই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা হরিপদ বারিক।
এই বাড়ি তৈরির পেছনে স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনীষা নন্দীগ্রামীর স্বামী গুরুপদ নন্দীগ্রামীর মদত রয়েছে এমনই অভিযোগ। জোর করে তাদের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরীর বিষয়ে ঘাটালের মহকুমা শাসক ও মহকুমা পুলিস আধিকারিক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জগন্নাথ মাইতি ও তাঁর ছেলে অনুপ মাইতি। আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রাখার। আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিব্যি চলছে পাকা বাড়ি নির্মাণ।
আরও পড়ুন: Malda: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ইংরেজবাজারে! লরির পিছনে ধাক্কায় মৃত ৩
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, অভিযুক্ত হরিপদ বারিক। তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ, আমি আমার জায়গায় বাড়ি করছি। প্রায় ৬০ বছর ধরে এই জায়গা আমার দখলে। আমার পুরনো বাড়িটা ভেঙে যাওয়ার ফলে নতুন ভাবে বাড়ি তৈরি করার সময় থেকে জগন্নাথ মাইতি ও তার ছেলে অনুপম মাইতি বলছে এখানে ওদের জায়গা আছে। তাহলে এতদিন বলেনি কেন? আজ ষাট বছর পর ওনাদের মনে পড়ল এখানে ওদের জায়গা আছে’।
আরও পড়ুন: Canning: বিজেপি-র লেখা দেওয়াল দখলে অভিযুক্ত তৃণমূল, লেখা মুছে দিল কমিশন
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে বিচার চলছে। আদালত যা রায় দেবে সেটাই হবে। তৃণমূলের বলে এটা কিছু নয়। মানুষ আমার পাশে আছে আমার গ্রাম, আমার পাড়া, আমার পাশে আছে। এখানে তৃণমূল বলে কিছু নেই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে’।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনীষা নন্দীগ্রামী ও তার স্বামী গুরুপদ নন্দীগ্রামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
যদিও এই বিষয়ে দাসপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বর্ণালী শাসমল ঘোড়ইকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ওটা জুডিশিয়াল মেটার হয়ে গেছে আদালতের বিচারাধীন ব্যাপার, সেক্ষেত্রে আদালত যে রায় দেবে সবাইকে সেটাই মান্যতা দিতে হবে। সবার উপরে আমাদের আইন। আইনের উপরে কেউ নেই, আদালত যেটা রায় দেবে সবাইকে মান্যতা দিতে হবে’।
এই বিষয়ে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও তিনি জানান খোঁজ নিয়ে ওই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন দেখার কী পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)