West Midnapore: ভেঙে ঝুলছে ছাদের চালা, নেই বিদ্যুৎ-জল; তার নিচেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিড ডে মিলের রান্না
এমনই বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবি দেখে আঁতকে ওঠার মতো অবস্থা অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর। অভিযোগ,দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। তারই নিচে ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে মিড ডে মিলের রান্না। যেকোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
চম্পক দত্ত: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দুয়ারে অ্যাডবেস্টারের চালা ভেঙে ঝুলছে, তার নিচেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে মিড ডে মিলের রান্না। বসার জায়গা না থাকায় গ্রামের আটচালায় চলে শিশুদের পড়াশোনা। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জলের ব্যবস্থা। এমনই বেহাল অবস্থা দাসপুরের ৩৪ নম্বর বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। যদিও হুঁশ নেই প্রশাসনের।
এমনই বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবি দেখে আঁতকে ওঠার মতো অবস্থা অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৪ নম্বর বিষ্ণুপুর তালন্দিমা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। জানা যায়, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গর্ভবতী মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে মোট ১২২ জনের মিড ডে মিলের রান্না হয়। এদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা ২২ জন এবং কেন্দ্রে পড়াশোনা করে ১০০ জন শিশু।
অভিযোগ,দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটির ভবন পাকা আর তার দুয়ারে চালার ছাউনি অ্যাডবেস্টরের। ভাঙাচোরা সেই দুয়ারের চালার একাংশ ভেঙে ঝুলছে। চারিদিক কাঠের ঝিটে বেড়া দিয়ে ঘেরা। তারই নিচে ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন চলছে মিড ডে মিলের রান্না। যেকোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শিশুদের খাবারে যে কোনও রকম পোকামাকড় পড়বে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আর কেন্দ্রের এহেন বেহালদশার কারণে ওই ভবনের ভিতরে শিশুদের বসানোর ঝুঁকি নিতে সাহস পায়নি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের একটি আটচালায় কম্বল পেতে চলে শিশুদের পড়াশোনা।
এতো গেলো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবনের বেহালদশার কাহিনি। বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই ওই কেন্দ্রে। মিড ডে মিলের রান্নার জন্য দুর থেকে পানীয় জল এনে রান্না করতে হয় রাঁধুনিকে। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি কিন্তু কোনও হুঁশ নেই প্রশাসনের এমনই অভিযোগ অভিভাবক থেকে এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন: Thunderstorm Lightning Death: প্রথম কালবৈশাখিই কালান্তক! বাংলায় বজ্রাঘাতে মৃত ১৫...
দ্রুত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন চাইছেন অভিভাবকরা। এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা কেউ ক্যামেরায় কিছু বলতে চাননি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া নিয়ে এমনটাই জানান তারা।
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মন্ডল অবশ্য জানান, ‘আগে এই কেন্দ্রটির চারিদিকে জঙ্গল ঘেরা ছিল। আমি আসার পর দুয়ারে চালা সহ মেরামতের কাজ করাই। তবে আবারও একটি এস্টিমেট করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। সরকারি টাকা আসতে দেরি হচ্ছে তা চলে এলেই পানীয় জল থেকে শুরু করে বেশ কিছু পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হবে’।
গ্রামের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশায় ভুগতে হচ্ছে শিশু থেকে কেন্দ্রের সহায়িকা কর্মীদের। বৃষ্টি হলে আরও হয়রানির শিকার হতে হয় তাই দ্রুত এই কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হোক চাইছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। এখন দেখার কবে হাল ফেরে দাসপুরের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।