নিজস্ব প্রতিবেদন:  সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এত বড় বিভীষিকার সাক্ষী শেষ কবে হতে হয়েছিল মুর্শিদাবাদের মানুষকে, তা স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই বাস দুর্ঘটনা?  পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন বাসচালক। কিন্তু যাঁরা মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন, তাঁরা বলছেন অন্য কথা, যা শিউরে ওঠার মতোই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের ভয়ানক বাস দুর্ঘটনার নেপথ্যে আসল কারণ কী , এবার উঠে এল সেই তথ্য


আসলে চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। ঠিক ব্রিজে ওঠার মুখেই চালকের মোবাইলে ফোন আসে। ফোনে কথা বলতে বলতেই বাস চালাচ্ছিলেন তিনি। চালকের বাঁ হাতে ছিল স্টেয়ারিং। কানে ফোন নিয়েই উল্টোদিক থেকে আসা একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীদের আরও দাবি, করিমপুর থেকেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন চালক। আর তাতেই ঘটে যায় এই বিপত্তি।


আরও পড়ুন: বাসের জানলায় মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন, আর চোখ খোলা হল না!


মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার আগেই স্বজনহারারা ভিড় জমান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সকাল থেকেই ফের ভৈরবের গর্ভে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সেতুর রেলিংয়ের যে অংশ ভেঙে বাসটি নদীতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ঠিক সেই অংশটিতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও এনডিআরএফ কর্মীরা। সকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১। কার্যত, গতকাল দুর্ঘটনার পর অনেক যাত্রীই বাঁচার জন্য বাসের জানলা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। অনেকে আবার বাসের মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বাসটিকে ক্রেন দিয়ে তোলার সময় জানলা দিয়ে অনেক দেহই বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। সেগুলির খোঁজেই ফের চলছে তল্লাশি।