সারদার `মিসিং` লাল ডায়েরি কার কাছে? কী বললেন সুদীপ্ত সেন
`আমি অভিযুক্ত, আমার কথা শুনবে কে?` লাল ডায়েরি নিয়ে প্রশ্ন করতেই বললেন সুদীপ্ত সেন
নিজস্ব প্রতিবেদন : লাল ডায়েরিতে লুকিয়ে রহস্য। সেই লাল ডায়েরি কোথায় আছে? সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে এই লাল ডায়রি প্রসঙ্গ। কিন্তু এই লাল ডায়েরি কোথায় আছে? তা তাঁর জানা নেই। বারাসতে বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিসের লড়াইয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে তোলপাড় রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি। কলকাতা পুলিস কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রবিবার রাত থেকেই ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। যে ঘটনাকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, "কাকে বাঁচাতে চাইছেন মমতাদি? নিজেকে?" জানতে চান,"লাল ডায়েরি আর পেনড্রাইভ কার কাছে? পুলিস কমিশনারের কাছে?"
সারদা মামলার শুনানিতে এদিন বারাসতের বিশেষ আদালতে সুদীপ্ত সেনকে যখন হাজিরার জন্য আনা হয়, তখন তাঁর কাছেও সাংবাদিকরা এই লাল ডায়রির 'অন্তর্ধান রহস্য' সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার বলেন, "লাল ডায়েরি কোথায়, আমি জানি না।" এখানেই না থেমে সুদীপ্ত সেন আরও বলেন, "আমি বারংবার বলে এসেছি সারদা সম্পর্কিত লাল ডায়েরি বা নথি কোথায় আছে আমার জানা নেই। এখনও তাই বলছি। তবে আমি অভিযুক্ত, আমার কথা শুনবে কে?"
আরও পড়ুন, সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরকে পালটা প্রতারণা মামলায় নোটিস কলকাতা পুলিসের
উল্লেখ্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দায়ের করা মামলাটির শুনানি হয়। শুনানির প্রথম থেকেই সওয়াল জবাব পর্ব ছিল উত্তেজনাময়। শুনানির শুরুতে সিবিআই এদিন মুখবন্ধ খামে একটি হলফনামা জমা দেয় আদালতে।
আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, "সিটের প্রধান হয়েও প্রভাবশালীদের আড়াল করেছেন রাজীব কুমার। সারদা মামলায় অসম্পূর্ণ ও বিকৃত তথ্য দিয়েছে সিট। সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ সিটের হাতেই ছিল। সুদীপ্ত সেনের মোবাইলও সিটের হাতে ছিল। সেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফরেনসিকে পাঠানো হয়নি। সিবিআইকে যে কল ডেটা দেওয়া হয়েছিল, তা-ও বিকৃত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন, "নিজেকে বাঁচাতে ধরনায় মুখ্যমন্ত্রী? লাল ডায়েরি আর পেনড্রাইভ কার কাছে?"
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সিবিআই-এর এই দাবি খারজি করে বলেন, “রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গত ৫ বছরে কোনও এফআইআর করা হয়নি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তথ্য লোপাটের অভিযোগেও কোনও এফআইআর হয়নি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। তাঁর পদকে অবমাননা করা হয়েছে।” সওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা পুলিস কমিশনারকে গ্রেফতারির নির্দেশ না দিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয়।