নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো। দলকে সুনির্দিষ্ট পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই। কিন্তু যোগ্য উত্তরসূরী হিবেসে দলের ভবিষ্যত ব্যাটন কার হাতে তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কে হবেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরাধিকারী? তা ঠিক করার দায়িত্ব কার্যত মানুষের হাতেই ছেড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন জি ২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি হয়ে সব প্রশ্নের খোলামেলা অকপট উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য থেকে জেলা সর্ব স্তরে দলবদ্ধভাবে কাজ করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীরা। মমতা আরও বলেন, পঞ্চায়েত প্রচারে জেলায় জেলায় এবার তিনি যাননি। কিন্তু এই সর্বস্তরের কর্মীরা মাঠে ময়দানে নেমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তাঁরা। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি।


উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির কথা স্মরণ করান মমতা। তিনি বলেন, "ছাত্রনেতা হিসাবে জেলার সবাইকে নিয়ে একটা টিম তৈরি করেছিলাম, যখন যুব রাজনীতিতে আসি, তখন সেই টিমটাই সঙ্গে ছিল।" পরবর্তীতে রাজ্য রাজনীতিতেও যে সেই টিমই তাঁর সঙ্গে কাজ করছে, এ কথাও স্পষ্ট করেন মমতা। সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র প্রমুখদের নিয়ে তৈরি এই টিমে প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, তাঁর এই টিম আরও ১৫-২০ বছর একইভাবে কাজ করে যাবে। এদিন বার বারই তিনি 'কালেক্টিভ লিডারশিপ' বা 'সমষ্টিগত নেতৃত্ব'-এর উপরে জোর দেন।


তবে তারপর যে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা বা নেত্রীর প্রয়োজন পড়বে, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই নেতা বা নেত্রীকে যে মানুষই কাজের মধ্যে দিয়ে বেছে নেবে, তাও স্পষ্টভাষায় এদিন জানিয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, "নেতা তৈরি হয় কাজের মধ্যে দিয়ে। আধুনিক প্রজন্মকেও কাজের মধ্যে দিয়েই এগোতে হবে।"


আরও পড়ুন, 'সুপারি দিয়ে আমাকে খুনের চক্রান্ত চলছে', চাঞ্চল্যকর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতার