অধ্যাপক নিগ্রহে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন না কেন? বুদ্ধিজীবীদের খোঁচা সায়ন্তনের
এদিন কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহ নিয়ে পালটা বুদ্ধিজীবীদের তোপ দাগেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, `অধ্যাপক নিগ্রহে তো মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা মনে পড়ল না বুদ্ধিজীবীদের? আসলে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেনা গোলাম হয়ে গিয়েছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: একের পর এক গণপিটুনিতে নীরিহ মানুষের মৃত্যুতে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। তাতে রয়েছেন অভিনেতা কৌশিক সেনও। গণপিটুনির প্রতিবাদ করে সংবাদমাধ্যমে সোচ্চার হন তিনি। কৌশিকবাবুর দাবি, এর পরই রাতে তাঁকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেয় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
বৃহস্পতিবার সায়ন্তনবাবু বলেন, 'কৌশিক নাটকের লোক, নাটক করেছেন। কে ওকে মারতে যাবে। এসব দর বাড়ানোর চেষ্টা।'
এদিন কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহ নিয়ে পালটা বুদ্ধিজীবীদের তোপ দাগেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, 'অধ্যাপক নিগ্রহে তো মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথা মনে পড়ল না বুদ্ধিজীবীদের? আসলে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেনা গোলাম হয়ে গিয়েছে।'
কোন্নগরের নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, দুঃখপ্রকাশ, নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ সুব্রতবাবুর
দেশজুড়ে গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, আদুর গোপালকৃষ্ণন, শুভা মুদগল, মন্দাক্রান্তা সেনের মতো ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। চিঠিতে 'জয় শ্রী রাম'-কে রণনাদে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অপর্ণা সেন বলেন, 'আমাকে আল্লা হু আকবর' বলতে বাধ্য করলে যেমন আমার ভাল লাগবে না, তেমনই কারও 'জয় শ্রী রাম' বলতেও ভাল না লাগতে পারে।