জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রকৃতির সামান্য অদল-বদলেই বড় রকমের পরিবর্তন আসে। সম্প্রতি পরিবেশগত এমনই এক পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত নানা মহল। দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। বেশিরভাগ অঞ্চলেই দিনভর কাঠফাটা রোদ, দুঃসহ গরম। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও ঘটছে দারুণ অদ্ভুত ঘটনা। সারাদিনের থেকে একেবারেই আলাদা থাকছে ভোরের আবহাওয়া। গত কয়েকদিনের ভোর দেখলে মনে হবে বোধহয় কুয়াশায় মোড়া শীতের সকাল। কয়েক হাত দূরেই কিছু দেখা যাচ্ছে না। রাস্তায় গাড়ি চলছে আলো জ্বালিয়ে। গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামবাংলায় এমন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুুন: Amartya Sen Land Dispute: ফের শুরু টানাহেঁচড়া, অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নোটিস সাঁটিয়ে হুঁশিয়ারি বিশ্বভারতীর


কেন ইদানীং ভোরের দিকে এমন আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে?


আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাকে 'কুয়াশা' বলে মনে হচ্ছে, সেটি আসলে এক ধরনের মেঘ। আবহাওয়াবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় 'লো ক্লাউড' বা নীচু মেঘ। সাধারণত বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে গেলে এই ধরনের মেঘ তৈরি হয়। শুধু এ দেশে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও কয়েক বছর ধরে মাঝে মাঝেই এই ধরনের আবহওয়া দেখা গিয়েছে। এটিকে কেউ কেউ গ্রীষ্মকালীন কুয়াশা বলছেন। যা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গবেষণা চলছে।


আরও পড়ুুন: Vaishakha Amavasya: এক অমাবস্যাতেই মুক্তি কালসর্প ও শনির সাড়ে সাতিয়া দোষ থেকে! জেনে নিন দিন-তিথি...


কিন্তু আমাদের রাজ্যে গ্রামবাংলা জুড়ে এত গ্রীষ্মকালীন কুয়াশা কেন?


আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সারা দিন প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে জলাশয় ও নদনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে। বাতাসে স্বাভাবিকের তুলনায় আর্দ্রতা যখন কম থাকছে তখন শুষ্ক বাতাস ওই জলীয় বাষ্প শুষে নেয়। সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়তে থাকে। সারারাত ধরে আর্দ্রতা বাড়তে-বাড়তে ভোরের দিকে বাতাসে বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে যায়। আর তখনই সেই বাতাস জলাশয় ও নদনদী থেকে তৈরি হওয়া বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প আর শুষে নিতে পারে না। ভোরের দিকে বাতাসে থাকা ওই অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প তখন কুয়াশার মতো ভাসতে থাকে। সেটাই এবারে হচ্ছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)